‘ওরা আমাকে খুন করার জন্য পরিকল্পিতভাবে বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। হামলার সময় আমাকে না পেয়ে ছোটভাই জামাল মুন্সিকে হত্যা করেছে।’
শুক্রবার দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় নিহত জামাল মুন্সির (৫০) বড়ভাই ভাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. হানিফ মুন্সি এ কথা বলেন।
এর আগে দিবাগত রাত ১টার দিকে আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামে এ খুনের ঘটনা ঘটে। নিহত জামাল মুন্সি চরচরতলা গ্রামের ফজলুল হক মুন্সির ছেলে।
হানিফ মুন্সী শনিবার দুপুরে যুগান্তরকে জানান, শুক্রবার রাত ১টার দিকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বাড়ির চারপাশে জড়ো হয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালনো হয়। এই সময় আমার ছোট ভাই জামাল মুন্সী বাড়ি থেকে বের হলে তার ওপর হামলা করলে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিকে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
হানিফ মুন্সী আরও জানান, আমার উপজেলা চেয়ারম্যান পদে অনাস্থা দিয়েছিল জিয়া উদ্দিন খন্দকার চেয়ারম্যান। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় গত দুদিন আগে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থার অভিযোগ তুলে নেয় স্থানীয় সরাকর মন্ত্রণালয়। এই জন্য আমাকে হত্যার করার জন্য আমার বাড়িতে এই হামলা চালিয়েছে।
হামলার সময় ছোট ভাই জামাল মুন্সী এগিয়ে গেলে আমার ভাইয়ের ওপর হামলা চালায় তারা।
তিনি বলেন, স্থানীয় চরচারতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন খন্দকার, উপজেলা যুবদলের সভাপতি সেলিম পারভেজ, ইউপি সদস্য সাদ্দাম মিয়া, বিএনপি নেতা আব্দুস শহিদ,উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম আমাকে খুন করার জন্য পরিকল্পিতভাবে আমার বাড়িতে হামলা করেন। তারা আমাকে না পেয়ে আমার ভাই জামাল মুন্সিকে হত্যা করেছে।
‘যেখানে আমার নিরাপত্তা নাই সেখানে সাধারণ জনগণ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে। আমি ও আমার পরিবার সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এসময় তিনি এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানান।
এ ব্যাপারে চরচারতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন খন্দকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এই ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ওসি জাবেদ মাহমুদ জানান, পুলিশ এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করেছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহত জামাল মুন্সি মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।