চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ খুলনা মহানগরীতে ওয়াসার সরবরাহকৃত পানি লবনাক্ত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে খুলনা মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস সংক্রমনের সংকটকাল ও পবিত্র রমজানের শুরুতেই গৃহবন্দী নগরবাসীর যখন পর্যাপ্ত সুপেয় পানির প্রয়োজন তখন ওয়াসার পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবন থাকায় দুঃশ্চিন্তাগ্রস্ত খুলনাবাসী। লবনপানি ব্যবহারে মানুষের পেটের পীড়া ও চর্ম রোগসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে খুলনাবাসী।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ২০০৮ সালে খুলণা ওয়াসার এ প্রকল্পে এডিবি এবং জাইকার অর্থায়নে দুই হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্যয়বহুল ওয়াটার ট্রিটমেন্টপ্লান্টে মোল্লাহাটের মধুমতি নদী থেকে পানি ব্যাপারে জনগনকে একপ্রকার অন্ধকারে রাখা হয়েছিল। পরিশোধের ব্যাপারে কোন সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ভবিষ্যতে নদীর লবনাক্ততা বৃদ্ধির বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব না দেয়ার জন্যই ওয়াসার ভবিষ্যৎ সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়ায় নগরবাসী দুশ্চিন্তাগ্রস্ত।
প্রদত্ত বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিদিনি ১১ কোটি লিটার পানি সরবরাহের কথা থাকলেও বর্তমানে কত লিটার পানি পরিশোধ করা হচ্ছে? তা নগরবাসী জানে না। এরমধ্যেও রয়েছে শুভঙ্কারের ফাঁকি। প্রকল্পে এপ্রিল মাসে পানিতে লবনাক্ততা আসতে পারে এই আশঙ্কায় রির্জার্ভার তৈরি করা হলেও তা কেন ব্যবহার করা হচ্ছে না। একই সাথে এতো বড় ব্যয়বহুল প্রকল্প কেন লবনমুক্তকরণের ব্যবস্থা নেয়া হল না? জনমনে সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
বিএনপি নেতারা আরও বলেছেন, জনগনের ঋণের টাকায় এতো বড় প্রকল্পের ভবিষ্যৎ কি তা নিয়ে জনমনে প্রকল্প থাকা স্বাভাবিক। খুলনা নগরীর ১৯ লক্ষ মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সুপেয় পানি সরবরাহের পরিমাণ, সম্ভাবনা সংকট সম্পর্কে ওয়াসার কোন বিজ্ঞপ্তি না দেয়ায় এই সংস্থার কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার জায়গায় আনা এবং খুলনা ওয়াসা পরিচালনায় কোন অবহেলা আছে কি না তা অবিলম্বে জানানো জন্য দাবি জানিয়েছেন খুলনা মহানগর বিএনপি। বিবৃতিদাতারা হলেন, বিএনপির চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা এম নুরুল ইসলাম দাদুভাই, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, সাহারুজ্জামান মোর্ত্তজা, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, আব্দুল জলিল খান কালাম, সিরাজুল ইসলাম, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, স ম আব্দুর রহমান, মোঃ ইকবাল হোসেন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আমজাদ হোসেন, অধ্যাপক আরিফুজ্জামান অপু, সিরাজুল হক নান্নু, আসাদুজ্জামান মুরাদ, এসএম আরিফুর রহমান মিঠু ও ইকবাল হোসেন খোকন প্রমুখ।- প্রেস বিজ্ঞপ্তি