আন্তর্জাতিক ডেস্কঃভারতীয় উপ মহাদেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল হিসেবে পরিচিত কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক থেকেও নির্ধারণ করা যায়নি দলের সভাপতি। যে কারণে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে ফের দলের হাল ধরলেন সাবেক সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। শনিবার (১০ আগস্ট) স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় রাজধানী নয়া দিল্লিতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, এ দিন সদ্য পদত্যাগী সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ফিরে পেতে অনেকটাই আগ্রহী ছিলেন শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ। যদিও নিজের পদত্যাগপত্র প্রত্যাহারে এখনো রাজি নন গান্ধী পরিবারের এ সদস্য। এমন সংকটময় অবস্থায় রাজীব জায়ার দ্বারস্থ হন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
সোনিয়া গান্ধীকে অনুরোধ করা হয়, যত দিন পর্যন্ত রাহুলের বিকল্প পাওয়া না যাচ্ছে, ঠিক তত দিন তিনি যেন দলের দায়িত্ব নেন। যা আর ফেলতে পারেননি সোনিয়া। মূলত এর পরপরই এত দিন ধরে পড়ে থাকা রাহুল গান্ধীর পদত্যাগপত্র আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়।
বিশ্লেষকদের মতে, গান্ধী পরিবারের সদস্য রাহুলের উত্তরসূরি হিসেবে এত দিন অনেকের নামই উঠে আসছিল; যাদের মধ্যে দৌড়ে সবার চেয়ে এগিয়ে ছিলেন মুকুল ওয়াসনিক এবং মোদী সরকারের প্রথম দফায় লোকসভায় বিরোধী নেতার দায়িত্ব পালনকারী মল্লিকার্জুন খড়্গের নাম। যদিও শেষ মেশ সেই গান্ধী পরিবারেই থেকে গেল সভাপতির এই পদ।
এর আগে একই দিন বিকাল পর্যন্ত যদিও সে রকম কোনো ইঙ্গিত সূত্র থেকে পাওয়া যায়নি। এমনকি সভাপতি নির্ধারণ ইস্যুতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির আয়োজিত বৈঠকে পর্যন্ত অংশ নিতে চাননি সোনিয়া ও তার ছেলে রাহুল গান্ধী। যদিও দলীয় নেতৃত্বের অনুরোধ ও দাবি আর ফেলা হলো না তাদের।
চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবির পর চরম ব্যর্থতার দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন রাহুল গান্ধী। তাছাড়া নিজের গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে এই দায়িত্ব বসানোর দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে পরামর্শ দেন তিনি।
মূলত সেই থেকে নতুন সভাপতির খোঁজে মাঠে নামে গোটা কংগ্রেস পরিবার। তবে যত দিন পর্যন্ত সঠিক ও উপযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে পাওয়া না যায়, তত দিন অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্ব সামালানোর জন্য পুরনো কাউকে আনার পরামর্শ দিয়েছিলেন শশী তারুরসহ দলের অনেক প্রবীণ রাজনীতিবিদ। যদিও শেষমেশ সেই পথেই হাঁটতে বাধ্য হলো দেশের প্রাচীনতম এই রাজনৈতিক দলটি।