আরিফুল হক চৌধুরীঃ প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের বাসিন্দারা কপোতাক্ষ নদ পেরিয়ে কেশবপুর উপজেলায় (যশোর জেলা) নিয়মিত যাতায়াত করার উপজেলায় বাড়ছে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি। স্থানীয়রা সচেতন মহল অবিলম্বে উক্ত খেঁয়াখাট বন্ধ ও পারাকৃত নৌকা জব্দ করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। একইসাথে তারা বলেন, এক জেলা থেকে আরেক জেলায় কিংবা উপজেলায় এভাবে মানুষ যাতায়াত করায় এলাকায় মানুষ করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরআগে করোনা সংক্রমন প্রতিরোধে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের নির্দেশে অন্য জেলার মানুষের যাতায়াত বন্ধ ও আন্ত: উপজেলার যান চলাচল বন্ধ করা হয়। আজ (১৬ এপ্রিল) স্থানীয়রা জাানয়, ‘ধানদিয়া খেঁয়াঘাটে নৌকা যোগে অবাধে সাতক্ষীরা জেলায় আসছে যশোর জেলার মানুষ ও কলারোয়া উপজেলা এবং সাতক্ষীরা জেলার মানুষ কেশবপুর উপজেলাসহ যশোর জেলায় যাতায়াত করছে’। প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে এভাবে যাতায়াত করায় স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও জানান, ‘পার্শ্ববর্তী মনিরামপুর উপজেলায় এক ব্যক্তি করোনা শনাক্ত হয়েছেন। স্থানীয়দের দাবি এভাবে খেঁয়া পারাপার চলতে থাকায় উপজেলার কপোতাক্ষ তীরবর্তী বাসিন্দারা দিনে দিনে করোনা ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। এদিকে ধানদিয়া গ্রামের বাসিন্দা কবিরুল সানা, হেলাল গাজীসহ কয়েকজন জানান, ‘প্রশাসনের নির্দেশনার পর সেনাবাহিনীর সদস্যরা খেঁয়াঘাট সংলগ্ন কপোতাক্ষ নদের উপর অস্থায়ী নির্মিত বাঁশের সাঁকোটি করোনা ভাইরাস ছড়ানোর ঝুকি থাকায় সাঁকোটি ভেঙ্গে দিতে চাইলে জয়নগন ইউনিয়নের সংশ্লিষ্ঠ ইউপি সদস্য খালিদ হাসান টিটুর অনুরোধে এবং বিশেষ প্রয়োজনে কাজে লাগতে পারে এমনটি ভেবে সাঁকোটি না ভেঙ্গে সাঁকোর মাঝে একটি বেড়া দিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় কিছু জনগন উক্ত বন্ধ করা বেড়ায় বড় ছিদ্র করে যাতায়াত করছে। আবার অনেকে সাঁকোর উপরের বেড়া টপকিয়ে বা নীচ দিয়ে যাতায়াত অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়া প্রশাসনের নির্দেশে জয়নগর ইউনিয়নের ধাঁনদিয়া খেঁয়া ঘাটে নৌকা পারাপার বন্ধ করা হলেও সস্প্রতি আবার সেটিকে চালু করা করেছে। যার কারণে অবাধে পারাপার হচ্ছে দুই জেলার লোকজন। ফলে এলাকায় করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব বাসীন্দারাও যাতায়াত বন্ধে অবিলম্বে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। জয়নগর ইউনিয়নের ধানদিয়া ওয়ার্ড ইউপি সদস্য খালিদ হাসান টিটু জানান, ‘বাশের সাঁকো ও খেঁয়াঘাটে আনসার সদস্যরা পাহারার দিচ্ছে তারপরও মানুষের যাতায়াত কোনভাবে আটকানো যাচ্ছে না’। তবে তিনি দাবি করে বলেন, ‘উপজেলায় মাদক চোরাচালানের সব পথ বন্ধ হওয়ায় বর্তমানে মাদক চোরাকারবারিরা জয়নগর-ধানদিয়া এলাকাটি ব্যবহার করছে। বিষয়টি তিনি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করবেন বলে জানান’।