চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃকয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ, এমএসআর সামগ্রী, ক্লিনিকাল রিএজেন্ট এবং ফার্নিচার সহররাহের জন্য দরপত্র কিনেও বেশিরভাগ ঠিকাদারই করোনার পরিস্থিতিতে তা জমা দিতে পারেননি। এরপরও সময়ের অজুহাতে টেন্ডার প্রক্রিয়া চালিয়ে নিতে আগ্রহী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। ফলে প্রতিযোগিতামূলক টেন্ডার না হলে হাসাপাতালের সঠিক দামে মালামাল সরবরাহের শঙ্কা রয়েছে। ঠিকাদারদের অভিযোগ নির্দিষ্ট একটি পক্ষকে সুবিধা দিতেই তড়িঘড়ি করে সম্পন্ন করা হচ্ছে টেন্ডার প্রক্রিয়া।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়, কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ওষুধ, এমএসআর সামগ্রী, ক্লিনিকাল রিএজেন্ট এবং ফার্নিচার সহররাহের জন্য গত ১৫ মার্চ দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্র ক্রয়ের এবং তা জমাদানের শেষ তারিখ ছিল ঐ মাসেরই ৩০ তারিখে। করোনার পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা হলে টেন্ডার প্রক্রিয়া স্থগিত হয়। তবে পত্রিকায় পুনঃবিজ্ঞপ্তি না দিয়ে একটি নোটিশের মাধ্যমে ৩০ এপ্রিল আবারও টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। সাধারণ ছুটি থাকায় ৫টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান দরপত্র সংগ্রহ করেছিল। কিন্তু এর মধ্যে ৩ জনই করোনার এই পরিস্থিতিতে দরপত্র জমা দিতে পারেনি। ফলে ১২টি পন্যের মালামাল সরবরাহের মাত্র ২ জন ঠিকাদারের দরপত্র জমা দেয়ার প্রেক্ষিতে টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটি এই পুরো টেন্ডার প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছেন বলে সূত্রগুলো বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। ওয়ার্ক অর্ডারে সুপারিশের জন্য আজ বুধবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার কাছে টেন্ডার মূল্যায়ন কমিটির পাঠানোর কথা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একধিক ঠিকাদার বলেন, এধরণের প্রক্রিয়া প্রমান করে করোনার কারণে টেন্ডার স্থগিত করা হয়নি। নির্দিষ্ট ঠিকাদারকে কাজ দিতে স্থগিত করা হয়েছিল। বর্তমানে সে পরিস্থিতি বিরাজ করছে বিধায় তড়িঘড়ি করে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে।