যুক্তরাজ্যে পাওয়া করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধেও কার্যকর ইরানের স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত একটি টিকা।
শনিবার টিকা উৎপাদন কার্যক্রমের দেখভালের দায়িত্ব থাকা হাসান জলিলি বলেন, কভিরান বারেকাত নামের টিকার দুই ডোজ নেয়া স্বেচ্ছাসেবীদের রক্তের নমুনা পরীক্ষার ইতিবাচক ফল এসেছে।
কাতারভিত্তিক আল-জাজিরা এমন খবর দিয়েছে।
তিনি বলেন, টিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের রক্তের প্লাজমা পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি ইংলিশ করোনাভাইরাসের রূপান্তরিত ধরন প্রতিরোধ করতে সক্ষম।
উপসাগরীয় দেশটির জাতীয় করোনাভাইরাস টাস্ক ফোর্সের জ্যেষ্ঠ সদস্য মিনু মোহরাজও এই খবরে সত্যতা নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ৭০ শতাংশ বেশি সংক্রমণ সক্ষম ইংলিশ রূপান্তরিত ভাইরাসের নমুনার ধরন সিতাদ গবেষকদের দিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আর কোভিরান বারেকাত নেয়া প্রথম তিন জনের রক্তের প্ল্যাজমা পরীক্ষা করে দেখা যায়, তা ভাইরাসটিকে পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করে করে দিয়েছে।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাঈদ নামাকি বলেন, নেদারল্যান্ডস থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বিমানে সাতজনের শরীরে করোনার ব্রিটিশ ধরনের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
ইরানে গত ২৯ ডিসেম্বর তিনজনের শরীরে কোভিরান বারেকাত নামের ওই টিকা প্রয়োগ করা হয়। এরপর এখন পর্যন্ত ৩২ জনের শরীরে অন্তত এক ডোজ করে টিকা দেওয়া হয়।