নাফি উজ জামান পিয়াল, যশোর প্রতিনিধি: গ্রীষ্মকালের রসালো ফল তরমুজ। এ সময়ে মানুষ তরমুজ খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু এই পছন্দকে পুঁজি করে পিস হিসেবে কিনে এনে কেজি দরে বিক্র করে ক্রেতাদের পকেট কাটছেন ব্যবসায়ীরা। যা কিনতে ক্রেতারা হিমশিম খাচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
যশোর শহরের বিভিন্নস্থানে তরমুজ কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। এতে অধিক লাভবান হচ্ছেন বিক্রেতারা।
সদর উপজেলার রূপদিয়া বাজার থেকে তরমুজ কিনে এনে শহরের বাজারে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। সেখান থেকে ব্যবসায়ীরা ছোট ও মাঝারি সাইজের পিস প্রতি ৫০ টাকা থেকে ৮০ টাকা দামে তরমুজ কিনে আনেন।
কিন্তু বাজারে ২৫ টাকা থেকে ৩৫ টাকা কেজি দামে তরমুজ বিক্রি করছেন। আর কেজি হিসেবে একটি তরমুজ ১২০ টাকা থেকে শুরু ২০০ টাকা দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাকে। ওজন করলে তরমুজ হচ্ছে ৪কেজি থেকে
৫কেজি। আবার অনেক তরমুজের ওজন হচ্ছে ছয় কেজি পর্যন্ত। ৩০ টাকা কেজি দামে তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১২০
টাকা থেকে ২শ’ টাকায়। এতে বিক্রেতারা লাভ করছেন ৭০ টাকা থেকে ১শ’ টাকা পর্যন্ত।
শহরের দড়াটানার তরমুজ বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী জানান, দুইবছর ধরে তরমুজ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্য ব্যবসায়ীরাও এভাবে বিক্রি করছেন। তাই আমিও বিক্রি করছি। তরমুজ কেন কেজিতে বিক্রি হচ্ছে সেটা বলতে পারেননি তিনি। আরেক বিক্রেতা হাসান ব্যাপারি জানান পিস হিসেবে তরমুজ কিনলে তার মধ্যে পাঁচ থেকে ছয়টা তরমুজ বাদ পড়ে। বিক্রি করতে গেলে ক্রেতাদের সাথে দামে ঝামেলা হয়। কিন্তু ওজন করে তরমুজ বিক্রি করলে ক্রেতাদের সাথে ঝামেলা হয় না। ক্রেতা যে তরমুজ পছন্দ করেন সেটা ওজন করে ক্রেতাদের কাছ থেকে দাম নেয়া হয়। সেই সাথে এতে কিছুটা লাভ হয়। চৌরাস্তার তরমুজ ব্যবসায়ী মনির হোসেন, আব্দুল কাদের জানান একই কথা। তবে কি কারণে তরমুজ কেজিতে বিক্রি করছে সেটা অনেক ব্যবসায়ী বলতে পারেন নি।
আমাদের রূপদিয়া প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা জানান, তরমুজের বৃহৎ পাইকারি মার্কেট রূপদিয়া। এখানে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে তরমুজ আসে। এরপর ক্রেতারা এখান থেকে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে নিয়ে যান। বর্তমানে পিস প্রতি বড় আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে। ছোট সাজের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে
৬০ টাকা। তবে যশোর শহরে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করে বেশি লাভবান হচ্ছে বিক্রেতারা।