করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চলমান কঠোর লকডাউনে খুলনায় কর্মহীন হয়ে পড়া দুইশত দোকান কর্মচারী, একশত নির্মাণ শ্রমিক, ২৭ জন প্রতিবন্ধী, ৩২ জন পাদুকা শ্রমিক, ৫০ ডেকোরেটর শ্রমিক, আট জন গৃহকর্মী এবং ৫০ জন হতদরিদ্র ব্যক্তির মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক খাদ্যসহায়তা বিতরণ করা হয়। খাদ্য সহায়তার মধ্যে ছিলো সাত কেজি চাল, দুই কেজি আলু, ৫০০ গ্রাম ডাল, তৈল ৫০০ গ্রাম ও একটি সাবান।
খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন আজ (শনিবার) দুপুরে রেলস্টেশন চত্ত্বরে এই খাদ্যসহায়তা বিতরণ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনর বলেন, কোভিড-১৯ থেকে রক্ষা পেতে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দুর্যোগে কর্মহীন মানুষের মাঝে খাদ্যসহায়তা পৌঁছে দিতে অত্যন্ত আন্তরিক। করোনা প্রতিরোধে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টরা কাজ করে যাচ্ছেন। খুলনায় করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতা একটু কমতে শুরু করছে। তিনি বলেন, যতদিন করোনাভাইরাস পরিস্থিতি থাকবে ততদিন সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচি চলমান থাকবে। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ, মাস্ক পরিধান এবং অযথা বাইরে বের না হওয়ার জন্য বিভাগীয় কমিশনার জনসাধারণের প্রতি অনুরোধ করেন।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে খাদ্যসহায়তা বিতরণে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম জাহিদ হোসেন ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ বক্তৃতা করেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইউসুপ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদিকুর রহমান খান, শ্রম দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রণজিৎ কুমার ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। খুলনার জেলা প্রশাসন এই খাদ্যসহায়তা বিতরণের আয়োজন করে।