চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ এপ্রিলের ৩ তারিখ প্রথম একটি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরা পারসনের করোনায় আক্রান্ত হন। এর পর দুই মাস ২৫ দিনে পাঁচ শতাধিক সংবাদকর্মী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। মারাও গেছেন নয়জন। সে সঙ্গে করেনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আরও সাত জন।
রবিবার (২৮ জুন) বিকাল পাঁচটায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী গ্রুপ ‘আমাদের গণমাধ্যম-আমাদের অধিকার’ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। গ্রুপটির কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ১২৮টি গণমাধ্যমের ৫০১ জন সংবাদকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সুস্থ হয়েছেন ১৪১ জন সংবাদকর্মী।
এরইমধ্যে গত ২৯ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে সময়ের আলোর নগর সম্পাদক হুমায়ুন কবীর খোকনের মৃত্যু হয়। করোনায় মারা যাওয়ায় গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে আরও রয়েছেন প্রবীণ সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, জবাবদিহির সহকারী সার্কুলেশন ম্যানেজার শেখ বারিউজ্জামান, এনটিভির অনুষ্ঠান বিভাগের প্রধান মোস্তফা কামাল সৈয়দ, ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের কক্সবাজার প্রতিনিধি আব্দুল মোনায়েম খান, বগুড়ার উত্তরকোন সম্পাদক মোজাম্মেল হক, ভোরের ডাক পত্রিকার চান্দিনা (কুমিল্লা) প্রতিনিধি গোলাম মোস্তফা, যশোরের নওয়াপাড়া পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক বেলাল হোসেন, বগুড়ার সাপ্তাহিক হাতিয়ারের নির্বাহী সম্পাদক সাইদুজ্জামান।
উপসর্গ নিয়ে মৃতদের মধ্যে রয়েছেন- সময়ের আলোর সিনিয়র সাবএডিটর মাহমুদুল হাকিম অপু, দৈনিক ভোরের কাগজের ক্রাইম রিপোর্টার আসলাম রহমান, বাংলাদেশের খবরের প্রধান আলোকচিত্রী মিজানুর রহমান খান, দৈনিক বগুড়া পত্রিকার বার্তা সম্পাদক ওয়াসিউর রহমান রতন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সিনিয়র সাংবাদিক সুমন মাহমুদ, দৈনিক সমাচার ও চাঁদপুর জমিন পত্রিকার ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক আবুল হাসনাত।
‘আমাদের গণমাধ্যম-আমাদের অধিকার’ গ্রুপের অ্যাডমিন সাংবাদিক আহম্মদ ফয়েজ বলেন, আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে এবং সরাসরি আক্রান্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে এসব তথ্য পাচ্ছি। ঢাকার বাইরে থেকেও বিভিন্ন জন তথ্য দিয়ে সহায়তা করছেন। এই তথ্যগুলো অবশ্যই ক্রস চেক করার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। তবে অনেকই গোপন রাখেন বলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে আমাদের ধারণা।