আসন্ন ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছানোয় সরকারের ১৮ দফা নির্দেশনার পর সোমবার (২৯ মার্চ) জরুরি বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন। সোমবার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে অনির্ধারিত বৈঠকে হয়। এ বৈঠকে বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভোট নিয়ে আলোচনা হয়।
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘৩১ মার্চের কয়েকটি নির্বাচন রয়েছে; এ নির্বাচনগুলো হবে। তবে ১১ এপ্রিল ইউপি, পৌর ও সংসদের উপ-নির্বাচন রয়েছে। এ বিষয়ে অনির্ধারিত বৈঠকে আলোচনা হলেও ১ এপ্রিল কমিশন সভার পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
প্রথম ধাপে ১৯ জেলার ৬৪ উপজেলার ৩৭১ ইউপি, ষষ্ঠ ধাপের ১১ পৌরসভা ও লক্ষ্মীপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনের প্রার্থীরা এখন প্রচারে রয়েছেন।
সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয়সহ সকল ক্ষেত্রে সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার।
সব ধরনের জনসমাগম (সামাজিক/রাজনৈতিক/ধর্মীয়/অন্যান্য) সীমিত করতে হবে। উচ্চ সংক্রমণের এলাকায় সব ধরনের জনসমাগম নিষিদ্ধ থাকবে। বিয়ে/জন্মদিনসহ যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান উপলক্ষে জনসমাগম নিরুৎসাহিত করতে হবে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, মাদরাসা, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়) ও কোচিং সেন্টার বন্ধ থাকবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর গেল বছর সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে পরবর্তী ৯০ দিনে করেছে ইসি। স্থানীয় সরকারের ভোট স্থগিত রেখেছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর নভেম্বর থেকে স্থানীয় সরকারের ভোট শুরু করে। মহামারির এক বছর পার করতেই ফের সংক্রমণ বাড়ায় নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন ইসি কর্মকর্তারা।