গত ৫ জুন ৬০ হাজার ছাড়ানো আক্রান্ত নিয়ে বেলজিয়ামকে টপকে শীর্ষ ২০ এ ঢুকে পড়েছিল বাংলাদেশ। আরও এক ধাপ এগিয়ে আসতে সময় লাগলো মাত্র চারদিন।
করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক পরিস্থিতি নিয়ে শুরু থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বাংলাদেশ কুড়িতম স্থান থেকে ১৯তম স্থানে উঠে এসেছে।
তালিকায় বাংলাদেশের উন্নতিতে উনিশতম স্থান থেকে কুড়িতম স্থানে নেমে যেতে হয়েছে মধ্য প্রাচ্যের দেশ কাতারকে।
সোমবার পর্যন্ত ৭০ হাজার ১৫৮ জন আক্রান্ত নিয়ে উনিশতম স্থানে ছিল কাতার। ঠিক এর নিচে থাকা বাংলাদেশের আক্রান্ত ছিল ৬৮ হাজার ৫০৪ জন।
মঙ্গলবার (৯ জুন) তালিকায় আরও ৩ হাজার ১৩১ জন নতুন আক্রান্ত যোগ হওয়ায় মোট ৭১ হাজার ৬৭৫ জন আক্রান্ত নিয়ে কাতারকে টপকে যায় বাংলাদেশ।
আক্রান্তে বাংলাদেশের ঠিক ওপরেই রয়েছে চীন। ৮০ হাজারের কিছু বেশি আক্রান্ত নিয়ে অষ্টাদশস্থানে আছে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি দেশটি।
এদিকে, মৃত্যুর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩২তম। মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৭৫ জনে। ৩৬ জন বেশি মৃত্যু নিয়ে বাংলাদেশের ওপরে আছে ফিলিপাইন।
সবশেষ তথ্যানুযায়ী দেশে করোনাভাইরাসে শনাক্তের হার ২১.৬২ শতাংশ; মৃত্যুর হার ১.৩৬ শতাংশ এবং সুস্থতার হার ২১.৪০ শতাংশ।
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭১ লাখ ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ লাখ ৬ হাজার। দেশ হিসেবে আক্রান্ত-মৃত্যুর উভয় তালিকায় শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র।
আর উপমহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে আক্রান্ত ও মৃত্যুতে শীর্ষে ভারত। দুই লাখ ৬৭ হাজার আক্রান্ত নিয়ে পঞ্চমস্থানে আছে দেশটি। প্রায় সাড়ে ৭ হাজার মৃত্যু নিয়ে এই তালিকায় তাদের অবস্থান দ্বাদশতম।