সাতক্ষীরা প্রতিনিধঃসাতক্ষীরা জেলার কলারোয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) সুলতানা জাহানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের জেরে তদন্তে নেমেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।বুধবার (১০ জুলাই ) সকালে কলারোয়ায় তদন্তে আসেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এটিএম কামরুল ইসলাম ও সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের রুমে বসে তদন্ত শুরু করেন তারা।এসময় সেখানে কলারোয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আক্তার হোসেন, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার রায়, কলারোয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যাপক এমএ কালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ মোসলেম আহম্মেদ, নির্বাহী সদস্য আব্দুর রহমান, সাংবাদিক সরদার জিল্লুর রহমান, হেলাতলা ইউপি চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, কেরালকাতা ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ সরদার, লাঙ্গলঝাড়া ইউপি চেয়ারম্যান প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম, সোনাবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মনিরুল ইসলাম, কেড়াগাছি ইউপি চেয়ারম্যান এসএম আফজাল হোসেন হাবিল, চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম মনি, কয়লা ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ইমরান হোসেন, কুশোডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আসলামুল ইসলাম আসলাম, দেয়াড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবর রহমান মফে ও জালালাবাদের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারমান আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।উপস্থিত চেয়ারম্যানগণ কলারোয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহানের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উপস্থাপন করেন।এ বিষয়ে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন- কলারোয়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুলতানা জাহানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হলে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।শুধু কলারোয়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার সুলতানা জাহানের দুর্ণীতিই নয় অন্যান্ন উপজেলার পিআইও যাদের বিরুদ্ধে সুর্নিস্ট অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধ দুর্ণীতির মামলা করা হবে ।দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এটিএম কামরুল ইসলাম বলেন- কলারোয়া পিআইও’র বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি কলারোয়ায় এসেছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান ও সকল ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে বসে কথা বলেছেন। উপজেলায় অসম্পুর্ণ কাজগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাতে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে তা পরে জানতে পারবেন। এদিকে পিআইও’র ফোন বন্ধ থাকায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।