আরিফুল হক চৌধুরীঃ কলারোয়া উপজেলার বাজারগুলোতে করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিষপত্রের দাম। আবারও দাম বেড়েছে পিঁয়াজ, রসুন, আলু, আদা, মুসুরের ডালের। চালের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। রোববার সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের চেয়ে নিত্যপণ্যের দাম বেশী। গত সপ্তাহে পিঁয়াজের দাম ছিল ৩৫/৪০ টাকা, এখন পিঁয়াজের দাম ৫৫/৬০ টাকা। রসুনের দাম ছিল ৮৫/৯০ টাকা, এখন দাম ১২০/১৩০ টাকা। মুসুরের ডাল দাম ছিল ৭০/৭৫ টাকা, এখন দাম ৮৫/৯০ টাকা, আলুর দাম ছিল ১৮/২০ টাকা, এখন দাম ২৪/২৫ টাকা। তবে সবজি, ডিম ও মুরগীর দাম রয়েছে স্থিতিশীল। এই ভরা মৌসুমে পিঁয়াজ ও রসুনের দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে কলারোয়া বাজারের এক খুচরা ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কলারোয়া বাজারে পিঁয়াজ, রসুন ও আলু কিছু পাইকারী ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রনে থাকার কারনে ইচ্ছামত দাম বাড়িয়ে যাচ্ছে। প্রশাসন কঠোরভাবে তদারকি করে এই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদেরকে ধরতে পারলে বাজারে পিঁয়াজ, রসুন ও আলুর দাম স্থিতিশীল পর্যায়ে আসতে পারে। এই ব্যবসায়ীরা কলারোয়া থেকে শ্যামনগর পর্যন্ত এই বাজার নিয়ন্ত্রন করে। কলারোয়া পৌরসদরে বাজার করতে আসা এক এন.জিও’র কর্মী জাহাঙ্গীর আলম জনি জানান, গত সপ্তাহের চেয়ে বাজারে নিত্যপণ্যের সকল পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের মত নির্দিষ্ট আয়ের লোকজন সবচেয়ে বেশী বিপদে পড়েছি। যেখানে সরকার বলছে নিত্যপণ্যের কোন ঘাটতি নেই অথচ বজারে যেয়ে দেখছি ঠিক তার উল্টোটা। দোকানদাররা করোনার কারনে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে এভাবেই নিত্যপণ্যের দাম নিচ্ছেন হাঁকিয়ে। এই জন্য তিনি স্থানীয় প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং করে দ্রব্য মূল্যের দাম স্থিতিশীল রাখার জন্য বিনীত ভাবে অনুরোধ করেছেন। তা না হলে এই বৈশি^ক দূর্যোগে রোজার সময় বাজারে বড় ধরনের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে এই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা।