দেশজুড়ে কঠোর লকডাউনের আজ চতুর্থদিনে যানবাহন চলাচলচল বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষসহ প্রত্যন্ত এলাকার অসুস্থ সংকটাপন্ন রোগিদের পরিবহন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মানুষ। এমন অবস্থায় পিরোজপুরের কাউখালীতে প্রত্যন্ত এলাকার অসুস্থ রোগিদের দ্রুত হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে চালু করা হয়েছে করোনা পরিবহন সেবা। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা এ করোনাকালে এ পরিবহন সেবা চালু করেছেন। এতে করে করোনাকালে যে কোনো অসুস্থ রোগির স্বজনরা নির্ধারিত মোবাইল নম্বরে কল দিলেই এ পরিবহন সেবা রোগির দ্বারে পৌঁছে যাচ্ছে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, কঠোর লকডাউন সফল করতে কাউখালী উপজেলায় সকল প্রকার যানবাহন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশী বিপাকে পড়েছেন প্রত্যন্ত এলাকার অসুস্থ ও দরিদ্র রোগিরা। তারা দ্রুত হাসপাতালে আসতে বেগ পেতে হচ্ছে। জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা উপজেলা পাঁচ ইউনিয়নে ১১টি অটোরিকশা, একটি মাহিন্দ্রা গাড়ি চালু করেন। সেই সাথে সন্ধ্যা নদী তীরবর্তী দরিদ্র রোগিদের দ্রুত হাসপাতালে নিতে নৌপথে চালু করেছেন একটি ট্রলার। লকডাউনে ২৪ ঘন্টা এ পরিবহন সেবা চালু রাখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কাউখালী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ও সামাজিক উদ্যোক্তা আবদুল লতীফ খসরু বলেন, কাউখালীতে কঠোর লকডাউন চলছে। সকল পরিবহন বন্ধ। মানুষ ঘরবন্দী । এমন অবস্থায় প্রত্যন্ত এলাকায় অসুস্থ রোগিদের পরিবহনে কোনো বিকল্প ছিলোনা। আমাদের ইউএনও মহোদয় মানবিক বিবেচনায় প্রত্যন্ত এলাকার অসুস্থ মানুষকে হাসপাতালে নিতে পরিবহন সেবা চালু করেছেন। করোনাকালে এটি একটি মহতী উদ্যোগ
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, লকডাউনের শুর থেকে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করছেন। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে পরিচালনা করে গত চার দিনে ৫০টি মামলায় ৩৭ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন । পুলিশ ও বিজিবি টহল দেয়ার কারনে রাস্তাঘাট ফাঁকা হয়ে যায়। আইন শৃক্সখলা বাহিনী রাস্তাার মোড়ে মোড়ে টহল অবস্থায় থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকার জন্য সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণাসহ প্রশাসনের পক্ষ হতে মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদা খাতুন রেখা বলেন, পুরো উপজেলা লকডাউনে গৃহবন্দী মানুষের মাঝে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু গোটা উপজেলা যানবাহন বন্ধ সে কারনে প্রত্যন্ত এলাকার অসহায় রোগিদেও দ্রুত হাসপাতালে নিতে ১১টি অটোরিকশা, একটি মাহিন্দ্র ও নৌপথে একটি ট্রলার সার্বক্ষণিক পরিবহন সেবা চালু রাখা হয়েছে।