পিরোজপুর প্রতিনিধি :: পিরোজপুরের কাউখালীতে তৃতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে ২৮ শে নভেম্বর। প্রথম ধাপে উপজেলার সদর ইউনিয়ন এবং আমড়াজুড়ি ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই নির্বাচনে আমড়াজুড়ি ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী হলেও সদর ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থীর নিকট নৌকার প্রার্থী হেরে গিয়েছিল।উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে তৃতীয় ধাপে ২৮শে নভেম্বরের ৪ নং চিরাপাড়া পার সাতুরিয়া এবং ১ং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনকে সামনে রেখে গত ১২ ই নভেম্বর শুক্রবার নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।গত ১৩ ই নভেম্বর শনিবার দুপুর ২ টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত শুরু হয়েছে প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণার আনুষ্ঠানিকতা। এরইমধ্যে নির্বাচনী এলাকার অলিতে গলিতে রাস্তাঘাটে গাছে এবং ব্রিজে সর্বত্র ভরে গেছে নির্বাচনী পোস্টারে। সর্বত্রই বাতাসে দোল খাচ্ছে প্রার্থীদের ছবি ও প্রতীক সম্বলিত সাদাকালো পোস্টার।গানের তালে তালে চলছে মাইকে প্রচার প্রচারণা। এবারের নির্বাচনে দুটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১১ জন প্রার্থী রয়েছেন। যার মধ্যে চিরাপাড়া ইউনিয়নে ৫ জন ও সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নে ৬জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছেন। তৃতীয় ধাপের এই নির্বাচনে চিরাপাড়াপার সাতুরিয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহমুদ খান খোকন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। তবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের দুই সাংগঠনিক সম্পাদক লায়েকুজ্জামান মিন্টু এবং মামুন হোসাইন। লায়েকুজ্জামান মিন্টু চশমা মার্কা নিয়ে প্রচার-প্রচারণায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন অপরদিকে মামুন হোসাইন আনারস প্রতীক নিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। জাতীয় পার্টি-জেপির সাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন বজলুর রহমান খান নান্নু এবং ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা নিয়ে নির্বাচন করছেন শিহাব উদ্দিন কাসেমী। প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ভোটের আশায়।অপরদিকে প্রচার-প্রচারণায় নানা কৌশল অবলম্বন করছেন সবাই। তবে এই নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর মাথার বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চশমা ও আনারস মার্কার দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী। ফুরফুরে মেজাজে আছে সাইকেল এবং হাতপাখা মার্কার প্রার্থীরা ।এই ইউনিয়নে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১৪ জন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩১জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। এছাড়া উপজেলার ১ নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছেন এরমধ্যে আওয়ামী লীগের ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম খোকন নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছেন। জাতীয় পার্টি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান এলিজা সাঈদ। তিনি সাইকেল প্রতীক নিয়ে প্রচারে নেমেছেন।এছাড়াও স্বতন্ত্র হিসেবে আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন গিয়াস উদ্দিন পলাশ ও চশমা প্রতীক নিয়ে আবু সাঈদ। এছাড়াও রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাসুম হোসেন মোটরসাইকেল ও আবুল কালাম অটোরিকশা।প্রতীক পেয়ে প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় ছুটে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। এই ইউনিয়নেও মহিলা সংরক্ষিত আসনে ১০জন নারী প্রার্থী অংশগ্রহণ করেছেন এবং সাধারণ সদস্য পদে ৩৩ জন প্রার্থী প্রচারণায় মাঠে রয়েছেন। সব মিলিয়ে দুটি ইউনিয়নে ১০১ জন প্রার্থী প্রচার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছেন।তবে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন নির্বাচন ইনশাআল্লাহ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের দুটি অভিযোগ পেয়েছি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। মাঠে সব সময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন।