পিরোজপুর প্রতিনিধি :: পিরোজপুরের কাউখালীর একটি মসজিদে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ১৫জন তাবলীগ জামাতের মুসল্লীকে অচেতন করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নেয় দূর্বত্তরা। মুসল্লীদের গতকাল শুক্রবার ভোরে কাউখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২জন মুসল্লীর অবস্থা গুরুতর বিধায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অসুস্থ মুসল্লীরা হলেন নীলফামারি জেলার বড়ইবাড়ি গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে মোস্তকিম (১৮), নেত্রকোনা জেলার তেলিগাতি গ্রামের আলী আকবরের ছেলে মিজানুর রহমান (৫০) একই জেলার বড়ইখালি গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে হামিদ উদ্দিন (৫৫)। নওগাঁ জেলার বাকরাইন গ্রামের সাবের উদ্দিনের ছেলে ইদুকুল ইসলাম, একই জেলার সাকড়াইল গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে ইয়াসিন আলী (৫২), নওগা জেলার ভান্ডারপুর গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে আব্দুল ছত্তার (৪০), একই জেলার নাবিলা নোনাহারপুর গ্রামের খোদাবক্সের ছেলে মোস্তাকিম (৫৯) একই জেলার রসুলপুর গ্রামের বসির শেখের ছেলে আব্দুস সামাদ (৭১), সুনামগঞ্জ জেলার মোহনপুর গ্রামের আব্দুল শুক্কুরের ছেলে শফিউল্লা (৬২), একই জেলার কালিপুর গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে জাফর আলী (৬০), কক্সবাজার জেলার কক্সবাজার সদরের এনায়েতুল্লার ছেলে সফিউল্লাহ (৭০) একই জেলার রাইটহাট গ্রামের ফেরদৌরে ছেলে আলী আকবর (৫৯), সুনাম গঞ্জ জেলার ধরনিয়া গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে আব্দুল হান্নান (৬০), নোয়াখালী জেলার কাশীমপুর গ্রামের আরশতিমের ছেলে তাবারক উল্লাহ (৬৩), কক্সবাজার জেলার নয়াপাড়া গ্রামের হাসেমউল্লার ছেলে হারুনুর রশিদ। এদের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলার আব্দুল হান্নান(৬০) এবং নোয়াখালী জেলার কাসিমপুর গ্রামের তাবারকউল্লাহ (৬৩) কে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। জানা যায়, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা থেকে তাবলিগে আসা কাউখালীতে তাবলিগ জামাতের এই ১৬সদস্যের টিমটি ৪১দিনের চিল্লার অংশ হিসাবে গত বৃহস্পতিবার উপজেলার গারতা মসজিদে চিল্লায় অংশ নেয়। তাবলিগ জামাতের সদস্য জয়পুরহাটের আক্কেলপুর গ্রামের মোজাহার হোসেন জানান, তারা রাতে নামাজ ও যাবতীয় কার্যক্রমে শেষ করে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। ভোররাতে ফজরের নামাজের সময় আগত হলে কেউ ঘুম থেকে না উঠায় বিষয়টি স্থানীয়দের জানানো হয়। পরে তারা এসে অজ্ঞান অবস্থায় ১৬জনের ১৫জনকে কাউখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তিনি আরো জানান, যে সন্ধ্যার পর পরই একটি অচেনা লোক এসে আমাদের বাড়ি ঘর জিজ্ঞাসা করে এবং রাতের খাবার তারাতারি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তে বলে চলে যায়। মুসল্লীর আরো জানান, একজন মুসল্লীর পটেক থেকে কিছু টাকা ও একটি মোবাইল নিয়েছে। বাকিরা সুস্থ না হলে কিছু বলা যাবেনা। এ ব্যাপারে থানা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মো. বনি আমিন জানান বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। কোনো দুস্কৃতিকারী চুরির উদ্দেশ্যে না নাশকতার জন্য এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।