পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রচার- প্রচারনা শেষে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে ভোটারদের উৎকন্ঠা। প্রথম ধাপে দুটি ইউনিয়নে আগামী সোমবার ২১ জুন ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এখানে কাউখালী সদর ও আমরাজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদে সরকার দলীয় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে লড়াই হচ্ছে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ও মহাজোটের প্রার্থীর মধ্যে। প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে সমান তালে শনিবার প্রচারের শেষ দিন পযর্ন্ত দিন-রাত প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করে ভোটের হিসেব কসছেন কে কোন কেন্দ্র থেকে কতো ভোট পাবেন।
এবারের দুটি ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মুহূর্তে ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচনে কাউখালী সদর ও আমরাজুড়ী ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মোট ১০, সদস্য পদে ৬৭ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ২৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিসঢ়;দ্বতায় রয়েছেন।
ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান-মেম্বার প্রার্থীরা ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে নানা প্রতিশ্ধসঢ়;রুতি দিয়েছেন। এ নির্বাচনে বিএনপির দলীয় প্রতীকে প্রার্থী না থাকলেও বিএনপির ভোটার সহ সাধারন ভোটারদের ভোট টানতে আওয়ামী লীগের দলীয় ও বিদ্রোহী প্রার্থী, মহাজোটের শরীক জাতীয় পাটি (জেপি) ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্রচারে গরম হয়ে উঠেছিলে নির্বাচনী মাঠ।
কাউখালী সদর ইউনিয়নে উপজেলা আওয়াামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান (নৌকা) প্রতীক নিয়ে বিগত নির্বাচনে দুইবারের বিজয়ী আমিনুর রশিদ মিল্টন এবারেও নির্বাচনেও নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন। এছাড়াও নৌকা প্রতীক পাওয়ার আশা নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফিজুর রহমান দৌড় ঝাঁপ করেও দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে (চশমা) প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। এছাড়াও মহাজোটের শরীক জাতীয় পার্টি জেপি থেকে (বাই-সাইকেল) প্রতীক নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন মোঃ নুরুল আমিন। এ তিন প্রার্থীর নিজস্ব ভোট ব্যাংক থাকায় সকলেই শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছেন।
এছাড়াও ইসালামী শাসনতন্ত্রেও মোঃ জসিম উদ্দিন (হাতপাখা) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে (আনারস) প্রতীকে নিয়ে মোঃ সাবের হোসাইন সাবুর, (আটোরিস্কা) প্রতীকে মাহামুদুল হাসান, (টেবিল ফ্যান) প্রতীকে নিয়ে শহিদুল ইসলাম সোহেল প্রতিদ্বন্ধিসঢ়;দ্বতা করছেন। এখানে ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ৬৮৮ জন।
আমরাজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনীত প্রার্থী (নৌকা) প্রতীকে সাবেক জেলা পরিষদেও সদস্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গির হোসেন, দুই বারের সাবেক চেয়ারম্যান কমিউনিষ্ট পার্টির মনোনিত প্রার্থী কৃষ্ণ লাল গুহ দলীয় (কাস্তে) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এ ইউনিয়নে ভোটযুদ্ধের মূল লড়াইয় হবে এই দুজনের মধ্যে একজন নেীকার প্রার্থী বিগত দিনে এলাকায় ব্যাপক দান খয়রাত করে
মানুষের কাছে পরিচিত মূখ। আরেক জন কাস্তে প্রতীকের প্রার্থী বারবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান সাধারন মানুষের কাছে জনপ্রিয় মানুষ হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি জাতীয় পার্টি (জেপি) মনোনিত (বাই-সাইকেল) প্রতীকের প্রার্থী ফিরোজ আলমের নিজস্ব একটি ভোট ব্যাংক থাকায় তাকে নিয়েও এলাকায় বেশ আলোচনা চলছে। এখানে ভোটার সংখ্যা ৭ হাজার ২৫৭ জন।
কাউখালীতে দুই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে ইতো মধ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সমর্থকদের ভিতর কয়েক বার মারমুখি ও উত্তেজোনা বিরাজ করায় সাধারন ভোটারদের অশংঙ্খা ভোট কি সুষ্ঠ হবে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোঃমিজানুর রহমান জানান নির্বাচন শতভাগ শান্তি পূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠিত হবে। নির্ভয় ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে আছে বলে তিনি জানান।