সনাতন ধর্মাবলম্বীদের রাস পূর্ণিমায় শ্রীশ্রীমদ্ দূর্গাপ্রসন্ন পরমহংসদেব এর ১৩০ তম অবির্ভাব উপলক্ষে পিরোজপুরের কাউখালীতে শ্রীগুরু সংঘ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আশ্রমে ৫ দিন ব্যাপী বাৎসরিক রাস উৎসব আজ শনিবার শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার কয়েক হাজার ভক্তবৃন্দের অংশগ্রহণে সংঘ পতাকা উত্তোলন শেষে এক বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা আশ্রম প্রাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে কাউখালী বন্দর প্রদক্ষিন করে। মঙ্গল শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন, আশ্রমের কেন্দ্রীয় সভাপতি স্বামী জগন্নাথানন্দ সরস্বতী, সাধারণ সম্পাদক রনঞ্জয় কৃষ দত্ত, কোষাধ্যক্ষ বিপুল কৃষ্ণ ঘোষ, প্রচার সম্পাদক ভক্ত কর্মকার, কাউখালী পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায় ও শোভাযাত্রা উপকমিটির আহবায়ক মানিক লাল কর প্রমুখ।
এছাড়া শোভাযাত্রায় অংশ নেন নেছারাবাদ সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার রিয়াজ হোসেন পিপিএম, কাউখালী উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান তালুকদার পল্টন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মৃদুল আহমেদ সুমন, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মিঠু, ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুর রশিদ মিল্টন প্রমূখ ।
পাঁচদিন ব্যাপী রাস উৎসব উপলক্ষে আশ্রম প্রাঙ্গনে বিশাল এলাকা জুড়ে বসেছে রাস মেলা। নাগরদোলা সহ রমকারি জিনিসের পসরা সাজিয়েছে দোকানিরা। পাহাড়ী কাঠের নকশায় গড়া আকর্ষনীয় ফার্নিচারসহ দূর দূরান্ত থেকে দোকানীরা এসেছে এই মেলায়। শীতের গরম কাপড়, শিশুদের বিনোদনেরও অনেক খেলনা সামগ্রীতে জমে উঠেছে এ আনন্দমেলা। প্রতিবছর রাসপূর্ণিমা তিথিতে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আশ্রমের সাধারণ সম্পাদক রনঞ্জয় কৃষ্ণ দত্ত জানান, বিশ্ব চরাচরের দুঃখ বিমোচন, অধর্মের গ্লানি থেকে রক্ষা ও ধর্ম সংস্থাপণার্থে বিশ্ব শান্তি কামনায় আজ থেকে ৫ দিন ব্যাপী এ উৎসবে ২৪ প্রহরব্যাপী তারকব্রহ্ম মহানাম
সংকীর্ত্তন অনুষ্ঠিত হবে।
কাউখালী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত রায় জানান, এ উৎসবে সারা দেশের ভক্তবৃন্দসহ জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষ প্রায় লক্ষাধিক ভক্ত ও পূন্যার্থীর সমাগম ঘটবে।
উল্লেখ্য এ আশ্রমের সামাজিক সেবামূলক অনেক কার্যক্রম রয়েছে। এর মধ্যে মন্দিরভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, দাতব্য চিকিৎসা শিবির পরিচালনা, সুরেন্দ্রনাথ দে স্মৃতি পাঠাগার পরিচালনা ও দৈনিক দরিদ্র নারায়ন সেবা অন্যতম। এছাড়াও অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মংগল আরতি, শ্রীমদ্ভাগবদ গীতা ও গুরুগীতা পাঠ, বস্ত্র বিতরণ, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, সরকারি হাসপাতালে দুঃস্থ রোগীদের মধ্যে ফল বিতরণ, সান্ধ্যকালীন প্রার্থনা, ধর্ম সভা ও গীতি আলেখ্য ।
২৪ নভেম্বর সমাপনী দিনে গুরুপূজা শেষে মহাপ্রসাদ বিতরণের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।