সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে একই পরিবারের চারজনকে অচেতন করে বাড়ির গ্রীলের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা ও সোনার গহনাসহ চার লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৫ ফ্রেবুয়ারি) ভোর রাতে উপজেলার পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। অচেতন চারজনকে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীনরা হলেন, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামের সুরত আলী মোড়লের ছেলে সালাহউদ্দিন মোড়ল (৫২), তার স্ত্রী খাদিজা খাতুন (৪০), তাদের দু’মেয়ে মেয়ে কালিগঞ্জ মোজাহার মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী হানিফা খাতুন (১৪) ও ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী তাকিয়া সুলতানা(১২)।
পশ্চিম নারায়ণপুর গ্রামের সুবদ আলী মোড়ল জানান, তাদের বাড়ির পাশে কলুপাড়ায় বৃহস্পতিবার রাতে মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। তার ভাই সালাহউদ্দিন, তার স্ত্রী ও দু’মেয়ে ভাত খেয়ে রাত ১২টার দিকে ঘুমিয় পড়ে। শুক্রবার সকালে ভাইয়ের ছোট মেয়ে তাকিয়া সুলতানার ঘুম ভেঙ্গে যায়। সে বাবা, মা ও বোনকে ডেকে সাড়া না পাওয়ায় বিষয়টি তাকে অবহিত করে। এসময় তারা যেয়ে বাড়ির গ্রীলের দরজার তালা ও গ্রীল কাটা অবস্থায় দেখতে পান। ঘরের মধ্যে জিনিসপত্র ছড়ানো ছিটানো ছিল। পরে তিনি জানতে পারেন যে চেতাননাশক স্প্রে করে অথবা খাবারের সাথে চেতনানশক খাইয়ে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা নগদ ৭৩ হাজার টাকা, চার ভরি ওজনের সোনার গহনাসহ চার লক্ষাধিক টাকার মালামাল নিয়ে গেছে। পরে পরিবারের চারজনকে কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
কালিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. তাহাজ্জুত হোসেন জানান, হানিফা ও তাকিয়া শঙ্কামুক্ত। তবে ৪৮ ঘণ্টা পার না হলে সালাহউদ্দিন ও খাদিজার অবস্থার কথা বলা যাবে না। তবে কি ধরণের চেতনানাশক ব্যবহার করা হয়েছে তা পরীক্ষা না করে এই মুহুর্ত্বে কিছু বলা যাবে না।
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) দেলোয়ার হুসেন বলেন, এ ব্যাপারে শুক্রবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।