নড়াইলের কালিয়ায় প্রথম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষক পলাতক রয়েছে। ধর্ষককে ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে শিশুটি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের বাজে বাবরা গ্রামের শিশুকন্যা ও স্থানীয় বি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে তার মা- পার্শ্ববর্তী গ্রাম কলামনখালি ইউপি মহিলা মেম্বারের বাড়িতে কাজে গেলে শিশুকন্যা তার মা কে ডাকতে যাওয়ার পথে অপরিচিত এক ব্যক্তি শিশুটির মুখ চেপে ধরে কলামনখালি নজরুল ইসলাম মোল্লার বাড়ির পাশের বাঁশ বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিশুটির চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসার আগেই ধর্ষক পালিয়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অপরিচিত ধর্ষক যুবক শিশুটিকে একা পেয়ে বাঁশ বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে করে পালিয়ে যায়।
এসময় শিশুটির চিৎকারে বাবরা মোড়ে থাকা কয়েকজন এগিয়ে আসলে অপরিচিত ওই ধর্ষক পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পার্শ্ববর্তী নোয়াগ্রামের বাসিন্দা ও ঠিকাদার মোঃ খাইরুজ্জামান মোল্লা বলেন, বাবরা মোড়ে আমার রাস্তার কাজ চলমান থাকায় আমি সেখানে দাঁড়িয়ে কাজ তদারকি করছিলাম হঠাৎ করে একটি শিশু চিৎকার শুনে এগিয়ে গেলে এক ব্যক্তিকে পালিয়ে যেতে দেখি পরে শিশুটির মুখ থেকে ধর্ষণের কথা শুনি এ সময় ধর্ষণকারী ব্যক্তিটি পালিয়ে যায়।
ধর্ষণকারী ব্যক্তি অপরিচিত হওয়ায় ধর্ষককে শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ তাসমীম আলম।
তিনি আরো বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটি চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে থাকায় তার পরিবার এখনও কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।