প্রতি বছর মার্চ মাসের দ্বিতীয় বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাপী কিডনি দিবস পালন করা হয়। জনগুরুত্বপূর্ণ শারীরিক সমস্যা হিসেবে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য এই দিবস উদযাপন করা হয়। বিশ্বের মোট জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশই কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। চলতি বছর কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য শ্লোগান ‘কিডনি রোগে ভালো থাকি।’ দিনটিতে সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে সেমিনার, কনফারেন্স ও অন্যান্য কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। কিডনি রোগের কারণ ও প্রতিকারের উপায় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
কিডনি রোগের কারণ
ডায়েবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ইউরিন ইনফেকশন, কিডনিতে পাথরসহ আরও অনেক কারণে কিডনি রোগ হয়। নিয়মিত পরিশ্রম ও ব্যায়াম না করা, পানি না খাওয়া, ধূমপান করা হতে পারে এর কারণ। অনেক সময় পরিবারের কারও কাছ থেকে এই রোগ সংক্রমিত হতে পারে।
প্রতিকারের উপায়
১. পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এক্ষেত্রে খুব কম অথবা অতিরিক্ত পানি পান কিডনির জন্য ক্ষতিকর।
২. অতিরিক্ত পেইনকিলার এবং ওষুধ সেবন না করা।
৩. অতিরিক্ত আমিষ জাতীয় খাবার পরিহার করা।
৪. ইউরিন ইনফেকশন বা কিডনিতে পাথর জমার বিষয়টিকে অবহেলা করা যাবে না এবং প্রথম পর্যায় থেকেই চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. ডায়েবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে এবং প্রতিনিয়ত ডায়েট করতে হবে।
৬. ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিডনি তার ব্যতিক্রম নয়।
৭. নিয়মিত উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষা করে দেখতে হবে যেহেতু উচ্চ রক্তচাপের মাধ্যমে কিডনি রোগ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও যা মেনে চলবেন:
অতিরিক্ত সোডিয়ামযুক্ত খাবার না খাওয়া
সোডিয়াম শরীরে পানির স্তরগুলোকে ভালো রাখতে সহায়তা করে। কিন্তু কিডনি রোগীর জন্য এটি ক্ষতিকর। অতিরিক্ত সোডিয়ামযুক্ত খাবার খেলে কিডনিতে পানি ধারণক্ষমতা কমে যায় এবং উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্টসহ আরও অনেক রোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
ফসফরাসযুক্ত খাবার খাবেন না
গরু ও খাসির মাংস, হাঁস-মুরগির মাংস, বাদাম এবং মটরশুঁটিতে প্রচুর ফসফরাস থাকে। সে কারণে কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির এসব খাবার খাওয়া উচিত নয়। ফসফরাসযুক্ত খাবার খেলে হৃদরোগের সম্ভাবনা বহুলাংশে বেড়ে যায়।
কলা, আলু, টমেটো, কমলা ও তরমুজে পটাশিয়াম রয়েছে। কিডনি আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই এসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। পটাশিয়ামযুক্ত খাবার খেলে কিডনি রোগীর শরীরে রক্তের পরিমাণ বেড়ে যায়।