তিন বছর আগে রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জে এক কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪–এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় দেন। ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এরশাদুল আলম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কেরাণীগঞ্জের খোলামোড়া গ্রামের কামির উদ্দিনের ছেলে সজিব (২৫), ফরিদপুরের ভাংগা উপজেলার খাঁকান্দা গ্রামের হাসমত আলীর ছেলে রাকিব (২৩) এবং শরীয়তপুরের পালং থানার মুসলিম মাতবরের ছেলে শাওন ওরফে ভ্যালকা শাওন (২৬)।
রায় ঘোষণার পর দণ্ডিত রাকিব ও শাওনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডিত সজিব পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ জুন কেরানীগঞ্জের ওই কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণের পর হত্যা করেন আসামিরা। পরে লাশ একটি ডোবায় ফেলে রেখে যায়। পুলিশ গিয়ে কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করে।
এই মামলায় ২০২৩ সালে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। পরের বছর আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ১৯ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এরশাদ আলম বলেন, মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি লাশ গুমের ঘটনায় তাদের প্রত্যেককে সাত বছর করে কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আসামিদের স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাকারে জমা দেওয়ার জন্য ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।