ভুক্তভোগী এক নারী খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ছাত্র আলিফ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে যৌতুক দাবী ও নির্যাতনের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন । আলিফ মোহাম্মদ বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষে অধ্যায়নরত।
খুলনার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন আদালত নং-৩ এ সাদিয়া ইসলাম স্বর্ণা বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোদনী ২০০৩) এর ১১ (গ)/৩০ ধারায় সিআর ৯৮/২৩ নং মামলা করেন।
মামলার বাদী খুলনার বেসরকারী নর্থ ওয়েষ্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী সাদিয়া ইসলাম স্বর্ণা। এ ঘটনায় পুলিশ এখনও আলিফ সহ অন্যানদের আটক করতে পারেনি।
মামলার সূত্রে জানা যায়, আলিফের সাথে স্বর্ণার ২০২২ সালে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়। দম্পতির চার মাস বয়সের আহিয়া ইসলাম সারা নামের একটি শিশু সন্তান রয়েছে। বিবাদী আলিফ বিভিন্ন সময় স্বর্ণাকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতেন। এছাড়া জামার্নিতে পড়াশুনা করার জন্য বাদীর পরিবারের নিকট ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। অন্যথায় আলিফকে অন্যত্র বিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকিও দেন স্বর্ণার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এ বিষয়ে গত ১লা জানুয়ারি সোনাডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন স্বর্ণা।
খুলনার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন আদালত নং-৩ এ সাদিয়া ইসলাম স্বর্ণা বাদী হয়ে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোদনী ২০০৩) এর ১১ (গ)/৩০ ধারায় সিআর ৯৮/২৩ নং মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আইনজীবি জিএম আব্দুল আলিম। মামলায় আসামী করা হয় তার স্বামী আলিফ মোহাম্মদকে। এছাড়াও আলিফের বোন আরশা আলমগীরকে ২নং এবং আলিফের মা আনোয়ারা খাতুন মুক্তাকে ৩নং আসামী করা হয়। আসামীরা সোনাডাঙ্গা থানার বানরগাতি এলাকার দারুস সালাম মহল্লার জলিল সাহেবের ভাড়াটিয়া। তাদের স্থানীয় ঠিকানা রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়ায়।
বাদী সাদিয়া ইসলাম স্বর্ণা জানান, ফেসবুকের মাধ্যমের আলিফের সাথে পরিচয়। তিনবছর প্রেম করার পর বিয়ে হয়। আমার বাবা-মা কেউ নেই। আমি আমার নানী কাজী শাহানা বানুর নিকট থাকি। আলিফ আমার এবং নানীর কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন বিদেশে লেখাপড়ার জন্য। এছাড়া বিভিন্ন সময় আমার ওপর নির্যাতন করতেন।
বিবাদী আলিফ মোহাম্মদ একাধিকবার ফোন রিসিভ করলেও কথা বলেন নি।