কেডিএ’র বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে খোলাবাড়িয়া ভূমি রক্ষা কমিটির সদস্য সচিব সেলিনা ইয়াসমিন এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে তিনি আরো বলেন, কেডিএ আবাসিক সংকট নিরসনের জন্য নিরালা-২ নামে একটি আবাসিক প্রকল্পের জন্য উদ্যোগ নিয়েছে। তৎপরতা দেখে মনে হয় তারা ডুবি ও খোলাবাড়িয়া মৌজায় জমি অধিগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ অবস্থায়, প্রতিবাদ করায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমার নির্মাণাধীন একতলা ভবন ভেঙ্গে দেয়ার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে চিঠি দিয়েছে। যা আদালত অবমাননার শামিল। লবণচরা থানার সামনে আমার বসতভিটে নিয়ে বটিয়াঘাটা সহকারী জজ আদালতে মামলা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, উল্লিখিত মৌজায় স্বল্প আয়ের মানুষের বসবাস। বাস্তুভিটা রক্ষা করার জন্য এখানে ভূমি রক্ষা কমিটি গড়ে ওঠে। এ মৌজা নিয়ে নিরালা আবাসিক এলাকা-২ নামে প্রকল্প গ্রহণ করে। এখানে প্রকল্প না নেওয়ার জন্য এলাকাবাসী কেডিএ’র কাছে দাবি জানায়।
গত ১৮ অক্টোবর কেডিএ কর্তৃক আয়োজিত গণশুনানীতে নিরালা আবাসিক-২ প্রকল্প স্থগিত করে। আমি গণশুনানীতে এলাকাবাসীর পক্ষ নিয়ে বক্তব্য দেয়ায় কেডিএ ব্যাক ডেট দিয়ে ১৭ অক্টোবর অথরাইজড অফিসার আমার একতলা ভবন অননুমোদিত আখ্যা দিয়ে ভেঙ্গে ফেলার জন্য চিঠি দেয়। চিঠিতে বলা হয় ভবন ভেঙ্গে না ফেললে কেডিএ ভাঙ্গার ব্যবস্থা করলে তার খরচ বাড়ির মালিককে বহন করতে হবে। কেডিএ’র উদ্দেশ্য সফল না হওয়ায় আন্দোলনকারীদের হয়রানি করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি সচেতন ব্যক্তিদের আন্দোলনকারীদের পাশে দাড়ানোর আহবান জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে নাজিমউদ্দিন, আলাউদ্দিন, মো: ওয়াহিদুজ্জামান, মাসুদ দাড়িয়া উপস্থিত ছিলেন।