চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃযশোরের মনিরামপুর উপজেলায় ফসলি জমি এবং অর্ধশত বসতবাড়ির পাশে দখল করা সরকারি জমিতে মাছের ঘের নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘের নির্মাণের পর বেড়িবাঁধের কারণে বর্ষা মৌসুমে আশপাশের ফসলি জমি এবং বাড়িতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগীরা জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পেতে ওই ঘের উচ্ছেদের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।
এলাকাবাসী জানান, মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের সুবোলকাটি এবং হরিদাসকাটি ইউনিয়নে এক একর সরকারি খাস জমি রয়েছে। এ জমির আশপাশে ব্যক্তি মালিকানাধীন ফসলি জমি এবং অর্ধশত বসতবাড়ি রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, কেশবপুর ভূমি অফিসের কর্মচারী রফিকুল ইসলাম,শফিক গাজী ও সহিদুল গাজী কাঁচা রাস্তার পাশে সরকারি ৬৩ শতক জমি দখলের পর সেখানে একটি বড় মাছের ঘের নির্মাণ করেন। ঘেরের চারপাশে উঁচু করে বেড়িবাঁধও দেওয়া হয়েছে। ফলে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দুরুহ হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে ঘেরের আশপাশের ফসলি জমি ও বাড়িগুলোতে চলতি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যে কারণে ভুক্তভোগীদের মধ্যে এ নিয়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবদুর রশিদ, মাসুদুল ইসলাম, আবু বক্কার সিদ্দিকী, আবদুর রাজ্জাক, মফিজুর রহমান, ফিরোজ হোসেন, আছাদুল ইসলামসহ স্থানীয়রা জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা পেতে চান। তারা মাছের ঘেরটিকে অবৈধ দাবি করে উচ্ছেদের জন্য বৃহস্পতিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন করেন।
তবে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে কেশবপুর ভূমি অফিসের কর্মচারী রফিকুল ইসলাম জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, শফিক গাজী এবং সহিদুল গাজীর পিতা ইনছার আলী সরকারের কাছ থেকে ১০০ বছরের জন্য ওই জমি বন্দোবস্ত নেন। সেই সূত্র ধরেই ওই জমিতে মৎস্যঘের নয় একটি পুকুর খনন করা হয়েছে।
অন্যদিকে ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশ মোতাবেক বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত নেয়ার কোন কাগজপত্র তারা (রফিক, শফিক, সহিদুল) দেখাতে পারেননি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহসান উল্লাহ শরিফী জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পাবার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।