চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)-এর কর্মচারী ইউনিয়নের কল্যাণ তহবিলের মূলধন ও শেয়ারের অন্তত অর্ধকোটি টাকার হদিস মিলছে না। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সদস্যরা। তবে ইউনিয়ন নেতারা বলছেন, মেয়র বিষয়টি তদন্তের জন্য বাজেট কাম একাউন্টস অফিসারকে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তদন্তে আসল ঘটনা বের হয়ে আসবে।
ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে, ৩০ বছর আগে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)-এর কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়। যার সকল কার্যক্রম কর্মচারী ইউনিয়ন পরিচালনা করছে। বর্তমানে ওই তহবিলের ৪০০ সদস্য রয়েছে। এসব সদস্যদের প্রতি মাসের চাঁদা ও শেয়ার বিক্রির টাকায় মূলধন ও লভ্যাংশ দাঁড়িয়েছে ৫২ লাখ টাকা। যার মধ্যে মূলধন ৪২ লাখ টাকা, বাকি টাকা শেয়ার ও লভ্যাংশ থেকে আয় হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে মূলধনের টাকা খাতা-কলমে রয়েছে কিন্তু বাস্তবে তহবিলে নেই। দায়িত্বরতরাও এ টাকা হিসাব দিতে পারছে না। ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সদস্যরা।
সদস্যরা বলছেন, ২০১৯ সালে এম এ মতিন নামের একটি ফার্ম অডিট করেছে। অডিটে মূলধন ৪২ লাখ টাকা এবং ১২ লাখ টাকা লভ্যাংশ হয়েছে এমন হিসাব উঠে এসেছে। কিন্তু কোন টাকার হদিস মিলছে না। টাকা কোথায় গেল সে হিসাবও দিতে পারছে না তহবিলের সভাপতি উজ্জ্বল সাহা ও সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদিন হোসেনসহ বোর্ড সদস্যরা। এ অবস্থায় একটি শক্তিশালী অডিট টিম ও তদন্ত কমিটির মাধ্যমে হিসাব নিরীক্ষা করার দাবি জানান সদস্যরা।
একতা দলের সভাপতি সেলিমুর রহমান বলেন মূলধন হারানোর আতঙ্কে সদস্যরা। কারণ মূলধন ও লভ্যাংশ কিছুই পাচ্ছেন না তারা। আজ (বুধবার) একতা দলের পক্ষ থেকে অডিট টিম ও তদন্ত কমিটির মাধ্যমে হিসাব নিরীক্ষা করার দাবি জানিয়ে মেয়রের কাছে আবেদন জানানো হবে। তিনি আরও বলেন কল্যাণ তহবিলের লোনের টাকা, মাসিক বেতন থেকে কর্তনকৃত টাকার চেক ও সদস্যদের নিকট থেকে চাঁদা হিসেবে কর্তনকৃত চাঁদার টাকার চেক ইউনিয়নের নিকট হস্তান্তর না করার জন্য ইতোমধ্যে বাজেট কাম একাউন্টস অফিসারের কাছে দাবি জানানো হয়েছে।
কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিউদ্দিন হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে তারা মেয়রের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি (মেয়র) তদন্তের জন্য বাজেট কাম একাউন্টস অফিসারকে নির্দেশও দিয়েছেন। তদন্তে আসল ঘটনা বের হয়ে আসবে, তখন সুরাহা হবে। কারণ সাধারণ সদস্যরা মূলধনসহ সকল টাকা ফেরত পাবে এটি তার প্রত্যাশা।