অনলাইন ডেস্কঃখুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)-এর ট্রেড লাইসেন্স শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরস্পর যোগসাজসে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরবারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে এমন অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি এমন অভিযোগ আমলে নিয়ে তা অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্ণীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানের স্বার্থে গতকাল বুধবার সংশ্লিষ্ট শাখার সকল রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের ০০.০১.৪৭০০.৭৩২.০১.০২৬.১৯/১৮৬২ নং স্মারকে বলা হয়েছে, কর্পোরেশনের লাইসেন্স শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরস্পর যোগসাজসে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছে এমন অভিযোগ উঠে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে চলতি বছরে ওই শাখায় অভিযান পরিচালনা করে দুদক। অভিযানের সময় অভিযোগের কিছু সত্যতা পায় সংস্থাটি। সর্বশেষ অভিযোগের বিষয়গুলো সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে গত ৮ জুলাই ওই শাখার রেকর্ডপত্র যেমন (১) ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে কেসিসি কর্তৃক ভাড়া দেয়া ডাকবাংলা মোড়ে স্থাপিত গ্রামীণ ফোনের এলইডি ডিসপ্লে, শিববাড়ি মোড় থেকে রয়েল মোড় পর্যন্ত রাস্তার ডিভাইডারের উপর বাংলালিংক’র বিজ্ঞাপন, পিকচার প্যালেস মোড়ে স্থাপিত এলইডি ডিসপ্লে, শিববাড়ি মোড়ে জিয়া হলের উপরে পলাশ জুয়েলার্স বিজ্ঞাপনসহ সকল বিজ্ঞাপন (এলইডি/সাধারণ বোর্ড, এ্যাসটেটিক ডিজিটাল বোর্ড) সংক্রান্ত সাধারণ সভার সিদ্ধান্তপত্র, বরাদ্দপত্র, বিজ্ঞাপনদাতা ও কর্পোরেশনের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিপত্র এবং লাইসেন্স অফিসারের বিজ্ঞাপন কর নির্ধারণপত্রসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত কপি। (২) উক্ত দুই অর্থবছরের এলইডি ও বোর্ডসহ সকল ডিসপ্লে এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন সমূহ প্রচারের নিমত্ত সরকার কর্তৃক জারীকৃত পরিপত্রের কপি। (৩) সকল বিজ্ঞাপনের ভাড়া আদায়ের মুড়ি বইয়ের ফটোকপি। (৪) সকল বিজ্ঞাপনের ভাড়ার টাকা আদায় করে যে ব্যাংকে হিসাব জমা করা হয়েছে তার হিসাব বিবরণী। (৫) ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রাণ আরএফএল কোম্পানি কর্তৃক বিজ্ঞাপনের ভাড়া বাবদ ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৯০০ টাকা পরবর্তী বছরে প্রদানের অনুমতি চেয়ে দাখিলকৃত আবেদনপত্র এবং আবেদনের প্রেক্ষিতে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক প্রদানকৃত অনুমোদনপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। (৬) ২০১৫-১৬ ও ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রাণ আরএফএল কোম্পানি কর্তৃক বিজ্ঞাপন প্রচারের ভাড়া পরিশোধের প্রত্যয়নপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি সরবারহের জন্য অনুরোধ করা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)- এর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নীলকমল পাল বলেন, অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানের স্বার্থে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা একান্ত প্রয়োজন। তাই গতকাল বুধবারের মধ্যে এ সংক্লান্ত সকল রেকর্ডপত্র সরবরাহের জন্য বলা হয়। তারা চাহিত কাগজপত্র সরবরাহ করেছে। এখন বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।