ভোটারদের স্বাক্ষর কারচুপি, আয়কর তথ্য গোপনসহ নানা অভিযোগে খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৪ প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করেছে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মেয়র পদে মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই শুরু হয়। এ সময় ভোটারদের স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগে সৈয়দ কামরুল ইসলাম ও আব্দুল্লাহ চৌধুরী এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান ও জাকের পার্টির এসএম সাব্বির হোসেনের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী তালুকদারর আব্দুল খালেক, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু ও ইসলামী আন্দোলন মনোনীত প্রার্থী আব্দুল আউয়ালের মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করেছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দীন বলেন, স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীদের মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীকে সমর্থন করা ৩০০ জন ভোটারের নাম ও তাদের স্বাক্ষর দিতে হয়। কিন্তু স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আল আমিন মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী, এস এম শফিকুর রহমান ও সৈয়দ কামরুল ইসলাম ভোটারদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে জমা দেন। সে কারণে তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
সবমিলিয়ে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে মোট ১৭৭ জনের মনোয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়া মনোনয়নপত্রের সঙ্গে আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় জাকের পার্টির প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া সংরক্ষিত আসনের দুই কাউন্সিলর প্রার্থী হলেন, সংরক্ষিত ৫ নম্বর ওয়ার্ডে একজন ও সংরক্ষিত ১০ নম্বর ওয়ার্ডের একজন।
এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে ১২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এরমধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে একজন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে একজন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে একজন, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে একজন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ৩ জন, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে একজন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে একজন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে একজন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে একজন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন আরও বলেন, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আগামী তিন দিনের মধ্যে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করতে পারবেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা যাবে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে আগামী ২৬ মে। এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার প্রায় পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার। ভোট কেন্দ্র ২৮৯টি এবং ভোট কক্ষ থাকবে এক হাজার ৭৩২টি।
এদিকে প্রার্থী কমে গেলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচেনর প্রত্যাশা করেন প্রার্থীরা। আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, মেয়র পদে প্রার্থী কমলেও নির্বাচন প্রতিদ্বন্দিতামূলক হবে। কোনো প্রার্থীকেই দুর্বল ভাবার কারণ নেই। আমি নির্বাচিত হলে কেসিসির উন্নয়নমূলক অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করব।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম শফিকুর রহমান বলেন, আমার মনোনয়ন পত্রে সামান্য ভুল হয়েছে। আমি আপিল করবো। আশাকরি আপিলে মনোনয়ন ফিরে পাবো।