কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শেষ হলো নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন(নাসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।রবিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলে ভোটগ্রহণ।
সকালে ভোটগ্রহণের শুরুতে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বেড়ে যায়। এবারে তরুণ ভোটারদের উপস্থিতি ছিলো উল্লেখ করার মতো।
নাসিক নির্বাচনে দুএকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। ভোটের সময় কোথাও তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠুভাবেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।
কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানিয়েছেন, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোট হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীদের এজেন্ট ছিল। নারী ভোটারদের উপস্থিতি বেশি। ভোটগ্রহণ নিয়ে কোনো মেয়র বা কাউন্সিলর প্রার্থী লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ করেননি।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, নির্বাচনে ১৯২টি ভোটকেন্দ্রের ভেতর ও বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাঁচ হাজারেরও বেশি সদস্য নিয়োজিত ছিল। নির্বাচনে ৩৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন।
নাসিক নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে(ইভিএম) চলছে ভোটগ্রহণ।এবারই প্রথম প্রতিটি কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হলো।
ইভিএম প্রক্রিয়ায় ভোট দিয়ে বেশ কয়েকজন ভোটার তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে তারা জানান, ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হয়েছে। বেশ কয়েক বছর যাবত টেলিভিশনে শুধু শুনে আসছি। আজ এসে নিজের ভোট নিজেই দিতে পেরে খুশি। অনেক ভালো লেগেছে।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৭জন প্রার্থী লড়লেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তৈমুর আলম খন্দকারের মধ্যে হচ্ছে মূল প্রতিদ্বন্ধিতা। এই দুইজনের যেকোনো একজন মেয়র পদে জযী হবেন বলে বুথফেরত ভোটারদের ধারনা।তবে বেশ শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে বলে তৈমুর ও আইভী শিবিরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
নাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছেন সেলিনা হায়াৎ আইভী। তার শক্ত প্রতিদ্বন্ধি হিসেবে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। এ দুইজন ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও পাঁচজন। মেয়র পদে অন্যরা হলেন— খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মো. মাছুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মো. রাশেদ ফেরদৌস, কামরুল ইসলাম স্বতন্ত্র।
সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডে ৩৪ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।ভোটাররা দুইবারের মেয়রকে আবারও চান নাকি নতুন কোনো নগরপিতা বেছে নেবেন-তা রবিবার রাতেই জানা যাবে।