দিন যত যাচ্ছে বদলাচ্ছে মানুষের সম্পর্কের সংজ্ঞাও। যত না আবেগের তার থেকেও বেশি সম্পর্ক হয়ে উঠছে বস্তুনির্ভর। বর্তমান প্রজন্মের কাছে সম্পর্ক বিষয়টিই হয়ে যেন হয়ে উঠেছে দেওয়া-নেওয়ার প্রতীক! যে কারণে হালের সবচেয়ে পরিচিত শব্দ ‘সুগার ড্যাডি’। শব্দটি অনেকেই শুনেছেন।
সুগার ড্যাডি কাকে বলে? আসলে এক বিশেষ ধরনের সম্পর্কের বর্ণনা দিতে এই শব্দটি ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের সম্পর্কে একজন বয়স্ক এবং ধনী পুরুষ একজন কম বয়সী সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন। পাশাপাশি ওই ধনী ব্যক্তি তার তরুণী সঙ্গীকে আর্থিক সহায়তা এবং অন্যান্য সুবিধাও দেন।
চলতি ভাষায় এ ধরনের সম্পর্কে লিপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিকে ‘সুগার ড্যাডি’ বলা হয়। যদিও বিষয়টির কোনো ব্যাকরণগত বা আইনি ভিত্তি এখন পর্যন্ত নেই। কেউ কেউ বিষয়টিকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ব্যক্তিগত পছন্দ হিসেবে দেখেন, আবার কেউ এটাকে নৈতিকতার দিক থেকে ভুল মনে করেন। তাই এ ধরনের সম্পর্কের বৈধতা ও নৈতিকতা নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক রয়েছে।
এবার সুগার ড্যাডি নিয়ে একটি চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ করলো ‘এসইএশিয়া ডট স্ট্যাটস’ নামের একটি সমীক্ষক সংস্থা। কোন দেশে কত সংখ্যক সুগার ড্যাডি রয়েছে, তা নিয়েই এই পরিসংখ্যান। প্রকাশিত ওই পরিসংখ্যান বলছে, এই তালিকায় ভারত রয়েছে একেবারে শীর্ষে। এখানে সুগার ড্যাডির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। প্রায় ৩ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছেন ভারতে।
তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। এখানে ষাট হাজারের বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছে মালয়েশিয়া ও জাপান। এই দুটি দেশে সুগার ড্যাডির সংখ্যা প্রায় ৩২ হাজার ৫০০। চতুর্থ স্থানে রয়েছে তাইওয়ান। এখানে প্রায় ২৭ হাজারের বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছেন। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। এখানে ১২ হাজারের বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছেন।
তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। সপ্তম স্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দুই দেশে সুগার ড্যাডির সংখ্যা যথাক্রমে এখানে ৮ হাজার এবং ৫ হাজারের মতো। অষ্টম স্থানে রয়েছে কম্বোডিয়া। এখানে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি সুগার ড্যাডি রয়েছে।
তবে এই সমীক্ষা কবে, কোথায় কিসের ভিত্তিতে হয়েছে তা নিয়ে কোনো তথ্য দেয়নি সংস্থাটি। কাজেই প্রশ্ন রয়েছে এই সমীক্ষার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে।