আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোটভাই বসুরহাট পৌরসভার চতুর্থবারের মতো নির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, ওবায়দুল কাদের আমাদের রক্তচক্ষু দেখাচ্ছেন। আমাদের কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছেন না। আমি কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় করি না। আগামী রোববার কোম্পানীগঞ্জে আধাবেলা হরতাল পালিত হবে।
তিনি বলেন, ওই দিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জের কোথাও পাখিও ওড়তে পারবে না। এরপর ঢাকাভিত্তিক কর্মসূচি হবে, প্রেস ব্রিফিং হবে, নোয়াখালীর অনেক নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত থাকবেন। নোয়াখালীর মেয়র ও হাতিয়ার মেয়র সেখানে উপস্থিত থাকবেন। সেখানে উপস্থিত থেকে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন করা হবে। ইতোমধ্যে নোয়াখালীর নেতা ও এমপিদের সঙ্গে কথা বলেছি।
সোমবার সন্ধ্যার পর বসুরহাট রূপালী চত্বরে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নোয়াখালীর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল আনম সেলিমের নাম উল্লেখ করে কাদের মির্জা বলেন, আজকে অনেকে বিক্রি হয়ে গেছে। যারা আমাদের সঙ্গে থাকে তারাও বিক্রি হয়ে গেছে।
একরাম চৌধুরী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অনেক অভিযোগ রয়েছে। ২০০১ সালে একরাম চৌধুরী আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে সদর ঐক্য বলে নির্বাচন করেছে। কীভাবে তাকে দলে রেখেছে, কে দলের দায়িত্ব দিয়েছে জানি না।
এ সময় তিনি একরামুল করিম চৌধুরীকে হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই একরাম তোর অস্ত্রবাজি বন্ধ কর। আমি এমন বাপ নই, আমার সন্তানের হাতে আমি অস্ত্র তুলে দিব। আমি অস্ত্রের রাজনীতি কখনো বিশ্বাস করি না। খোদাকে হাজির করে বলতে পারব, অস্ত্রের রাজনীতি আমি ঘৃণা করি।
নোয়াখালীর মেয়র সোহেল আগামীকাল হাজারও নেতাকর্মী একত্র করার পরিকল্পনা নিয়েছে, তা একরামুল করিম চৌধুরী বাধা দেওয়া শুরু করে দিয়েছে। একরাম ও তার লোকজন এখনও অস্ত্র প্রদর্শন করেছে। যুবলীগের এক ত্যাগী কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তাকে পাইনি, তবে তার পিএসকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।