যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নতুন সচিব মেজবাহ উদ্দিন আজ বুধবার যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেছেন। গত ২৮ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে মেজবাহ উদ্দিনকে পদোন্নতি দিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়। তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি নবনিযুক্ত সচিবকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। এ সময় বিদায়ী সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ দপ্তর সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সদ্য যোগদানকৃত সচিব বলেন, ‘সরকারি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়াই আমার লক্ষ্য। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে জনসেবা নিশ্চিতকরণ, সরকারি সেবা গ্রহণে জনভোগান্তি ও হয়রানি যে কোন উপায়ে বন্ধ করা হবে। সকল প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করা হবে।’ সচিব দেশের যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১১ ব্যাচের মেধাবী ও চৌকস এই কর্মকর্তা এর আগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর একান্ত সচিব, খুলনার জেলা প্রশাসক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন। সরকারি কর্মকাণ্ডে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানো ও নিশ্চিত করা, ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে ডিজিটাইলেজেশন করায় ২০১৬ সালে দেশের ‘সেরা জেলা প্রশাসক’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন মেজবাহ উদ্দিন।
অন্যদিকে, ২০২০ সালে অফিসার্স ক্লাব ঢাকার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর ক্লাবের ৫২তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পরবর্তী দুই বছরের জন্য মেজবাহ উদ্দিনকে পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এ ছাড়া তিনি ১১তম বিসিএস অফিসার্স ফোরামের সভাপতি এবং বাংলাদেশ এ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।