চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃজেলার কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ৪০ দিনের কর্মসূচির শ্রমিকদের প্রায় ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। কাজ করার দীর্ঘদিন পর অর্থ না পাওয়ায় মানবেুর জীবনযাপন করছে শ্রমিকরা। দুই সপ্তাহ আগে এ বিষয়ে খুলনা জেলা প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেও সুফল পাচ্ছে না শ্রমিকরা। ফলে এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
লিখিত অভিযোগপত্রে উল্লে¬খ্য করা হয়েছে, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ৪০ দিনের কর্মসূচির প্রথম ধাপের ২২ ও দ্বিতীয় ধাপের ২৫ সর্বমোট ৪৭ কর্মদিবসের টাকা নিয়ম মতোই পেয়েছে শ্রমিকরা। দ্বিতীয় ধাপে কাজ শেষ করলেও ৩৩ কর্মদিবসের প্রায় ১২ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করা হলেও শ্রমিকরা তা পায়নি। এমনকি শ্রমিকদের এ্যাকাউন্টে জমাকৃত প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা ফেরত দেবার কথা থাকলেও দেয়া হয়নি। এসব অর্থ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য মোজাফফর হোসেন শিকারী আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে গণস্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মোজাফ্ফর হোসেন শিকারী (মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টায়) মুঠোফোনে বলেন, “কয়েকজনের টাকা বাকী ছিল। আমি পরে তা দিয়ে দিয়েছি। গ্র“প লিডারদের কাছে দিয়েছিলাম, তারা আবার বাকী রাখছিল। ফাঁকিবাজী করেছে তারাই।
ইউপি চেয়ারম্যান জিএম কবি শামসুর রহমান বলেন, ‘আমি শুনেছি হযরত খাঁ পাঁচ হাজার টাকা পাইতো; তা পরে বিকাশে শোধ করে দিছে। ওই হযরত খাঁই এসব প্রোপাকান্ডা ছড়াচ্ছে। ১৬ লাখ টাকা পাওনা থাকলে লেবাররা তাকে ছেড়ে দেয়?’