চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে বোর্ডের নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছেন একাধিক মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। জানা গেছে, কয়রা উপজেলার একাধিক মাধ্যমিক বিদ্যালয় মানবিক বিভাগের একজন ছাত্রের কাছ থেকে শিক্ষা বোর্ডের ফি-১৮৫০ টাকা এবং এক বছরের বেতন ও সেশনচার্জসহ -৩১৫০ টাকা পর্যন্ত নিয়েছেন। এছাড়া কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান বোর্ডের ফি – ১৮৫০ টাকা এবং অতিরিক্ত ৫০ টাকা খরচ সহ ১৯০০ টাকা নিয়ে ফরম ফিলাপ করেছেন। এ বিষয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে মহামারি করোনার কারনে একদিকে মানবিক সহায়তা দেখিয়ে বোর্ড ফি ছাড়া অতিরিক্ত ২০০ টাকা নিয়েছেন। অপর দিকে একাধিক প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন ফরম ফিলাপের সময় তারা বোর্ডে খরচ -১৮৫০ টাকা সহ এক বছরের বেতন ও সেশনচার্জ বাবদ ১০০০ থেকে ১৩০০ টাকা অতিরিক্ত নিয়েছেন। এদিকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অনেকেই এর সত্যতা স্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য পরীক্ষাথীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে চন্ডিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জায়গীর মহল তকিমুদ্দিন বিদ্যালয়, গিলাবাড়ী মাধ্যঃ বিদ্যালয়, মঠবাড়ী সেরাজিয়া মাধ্যঃ বিদ্যালয়, হড্ডা ডিএম ও হড্ডা মাধ্যঃ বিদ্যালয়, বাঁশখালী মাধ্যঃ বিদ্যালয়, মহেশ্বরীপুর মাধ্যঃ বিদ্যালয়। এর মধ্যে চন্ডিপুর, জায়গীর মহল, মঠবাড়ী সেরাজিয় এবং গিলাবাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ড খরচের বাইরে সর্বোচ্চ টাকা নিয়েছেন। এ বিষয় একাধিক অভিভাবক জানিয়েছেন শিক্ষকরা সারা বছর স্কুলে না গিয়ে সরকারের বেতন ভাতা খেয়েছেন এবং ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে না গেলেও তাদের কাছ থেকে ১ বছরের বেতন ও সেশনচার্জ সম্পূর্ণ নিয়ে ফরম ফিলাপ করেছেন। তারা আরও বলেন, মহামারি করোনা অনেকেরে ক্ষমা করলেও শিক্ষকরা ক্ষমা করেন নি। এ বিষয় খুলনা জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার রুহুল আমিন জানান, যে সকল প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত টাকা নিয়েছেন সে টাকা ফেরত দেওয়া হবে এবং করোনা দূর্যোগের কারনে ছাত্রছাত্রীদের মানবিক সহায়তায় বোর্ডের খরচের বাইরে সামান্য কিছু খরচের টাকা নেওয়া হবে । তিনি বলেন, যে সব প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত অর্থ নিয়েছেন তদন্ত পূর্বক সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।