চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ কয়রায় দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থদের স্কুলে যাতায়াতের রাস্তা বেহালদশার খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানার পর তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন সাংসদ আলহাজ্ব
মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু। তিনি দেশের বাহিরে অবস্থান করেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কয়রা উপজেলার দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশু ছাত্র ছাত্রীরা কাঁদা পানির রাস্তা দিয়ে স্কুলে যাতায়াত করছেন, এমন ছবি দেখার পর রাস্তা দুটি
দ্রুত সংস্কারের জন্য কতৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন। উল্লেখ্য উপজেলার বাগালী ইউনিয়নের বায়লারহানিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সন্নিকটে ৩০০ ফুট রাস্তা কাচা থাকায় কাঁদা পানির মধ্য দিয়ে বর্ষা মৌসুমে কোমলমতি ছাত্র ছাত্রীদের স্কুলে যাতায়াত করতে হয়েছে। এছাড়া একই ইউনিয়নের শ্রীফলতলা ডি এম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
নিকটবর্তী কলাপোতা গ্রামের সিংয়ের খাল কালভার্ট হতে বামিয়া সরকারি পুকুর পাড় অভিমুখে কাচা রাস্তাটি বৃষ্টি হলেই যাতায়াতে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। ফলে কাঁদা পানির মধ্যে শ্রীফলতলা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বামিয়া হাইস্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের বই খাতা নিয়ে অত্যান্ত ঝুঁকির মধ্যে চলাচল করতে হয়। বিষয়টি মঙ্গলবার সাংসদ উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সাংবাদিকদের অবগত করলে বুধবার সরেজমিনে রাস্তা দুটিতে কোমলমতি
ছাত্রছাত্রীদের চলাচলে সম্পূর্ণ অনুপযোগী দেখা যায়। এ বিষয় সাংসদ আলহাজ্ব আকতারুজ্জামান বাবুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এলাকার শিশু ছাত্র ছাত্রীদের এ ধরনের চলাচলের অনুপযোগী রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে হয়
বিষয়টি জানা ছিল না। তিনি বলেন, বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় জানার পর রাস্তা দুটি দ্রুত সংস্কারের জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সহ উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছি। এ বিষয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দুটির সভাপতিদ্বয় মুক্তিযোদ্ধা আঃ সাত্তার সানা ও রবিউল ইসলাম সানা সাংবাদিকদের জানান, বর্ষা মৌসুমের আগেই স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বরকে জানানো সত্বেও সামান্য এই রাস্তাটুকু পাকা না করায় গত কয়েক মাস ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কাঁদা পানির মধ্যে দিয়ে স্কুলে যেতে হয়েছে। তবে সাংসদের আশ্বাসে দ্রুত রাস্তা নির্মাণ হতে চলেছে
এমন খবর জানার পর দুটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।