লাগাই গাছ বাড়াই বনায়ন’ এ প্রতিপাদ্যে গ্রীন বেল্ট প্রজেক্ট এর আওয়তায় কয়রা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও সরেজমিন কৃষি গবেষণা বিভাগ
বিএআরআই দৌলতপুর খুলনার সার্বিক সহযোগিতায় ডাকবাংলা মরুভুমি চত্বরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়েছে।
শনিবার (১০ জুলাই) দুপুর ১২ টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বৃক্ষরোপন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আছাদুজ্জামান। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট খুলনা ড. হারুনর রশিদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম শফিকুল ইসলাম, কপোতাক্ষ মহাবিদ্যিালয়ের অধ্যক্ষ অদ্রীশ আদিত্য মন্ডল, সুন্দরবন বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এম খায়রুল আলম,সরেজমিন গবেষণা বিভাগের বৈজ্ঞানিক সহকারি জাহিদ হাসান, প্রভাষক বিদেশ রঞ্জন মৃধা, শিক্ষক নাহিদ হাসান খোকা, আইসিডি প্রতিষ্ঠাতা আশিকুজ্জামান আশিক। গাছের চারা রোপন কাজে সহযোগিতা করেন সাইক্লিং গ্রুপ, এফ সি কয়রা ও রোভার স্কাউট সদস্যরা। ডাকবাংলা চত্বরে গোপালগঞ্জ জেলায় বিএআরআই এর কৃষি গবেষনা কেন্দ্র স্থাপন ও দেেেশর দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশ- প্রতিবেশ উপযোগী গবেষণা কার্যক্রমের জোরদার করনের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের অর্থায়নে ২শ, নারিকেল, ১৩০ টা তাল, ১৫০ টা খেজুর, ৬৭ টি আম, ১শ মাল্টা, ৫০ টি ছবেদা ও ২০ টি ড্রাগনের চারা রোপন।
এ সময় প্রধান অতিথি আছাদুজ্জামান তার বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সামাজিক বনায়নের কোন বিকল্প নেই। তিনি আরও বলেন, মানুষের জীবন বাঁচাতে বৃক্ষের গুরুত্ব অনেক। উপজেলা প্রশাসন ও সরেজমিন গবেষণা বিভাগের আজকের এই বৃক্ষ বনায়নের উদ্যোগ অত্যান্ত প্রশংনীয়। সম্মানিত অতিথি ড. হারুনর রশিদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে পৃথিবীর তাপমাত্রা যদি ১ ডিগ্রি বাড়ে তবে বজ্রপাতের পরিমান প্রায় ৫০ ভাগ বেড়ে যায়। যদি কেউ একটা গাছ লাগায় তাহলে ৫০ বছরে এ গাছ থেকে প্রায় ৪০ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে উপকৃত হয়। তিনি আরও বলেন, দেশের করোনা ক্লান্তি লগ্নে যে অক্সিজেনের অভাবে মানুষের জীবন বিপন্ন সেই অক্সিজেনও কিন্তু আমরা গাছ থেকে পাই। এ জন্য সকলের বাড়ীতে বা ফাকা রাস্তার পাশে গাছ লাগানোর আহবান জানান।