শাহজাহান সিরাজ :: কয়রায় মহেশ্বরীপুর ইউনিয়নের শিবসা নদীর বেঁড়িবাাঁধের লবণ পানি তোলা ৬ টি পাইপ বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় সাধারণ জনগণ। এ সময় জাতীয় সংসদ সদস্যের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস, কয়রা থানা অফিসার ইনচার্জ রবিউল হোসেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান বিজয় কুমাার সরদার সহ সাংবাদিক ও লবণ পানির চিংড়িঘের বিরোধী স্থানীয় শত শত জনতা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় উপজেলার পূর্ব হড্ডা গ্রামের শিবসা নদীর বেঁড়িবাঁধে মাটির তল দিয়ে ছোট বড় ৬ টি লবণ পানি উঠা নামার পাইপ বন্ধ করার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে লোনা পানির চিংড়িঘের।
সংশ্লিষ্ট ষূত্র জানায়, ২০২০ সালে কয়রা উপজেলা পরিষদের সভায় জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ আকতারুজ্জামান বাবুর উপস্থিতিতে সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যগণ কয়রায় অপরিকল্পিত লবণ পানির চিংড়িঘের বন্ধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করে। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয় ২০২২ সারের মধ্যে ওয়াপদার বেঁড়িবাঁধের তলায় এবং উপরে অবস্থিত লবণ পানি তোলার সকল পাইপ বন্ধ করে দেয়া হবে। সূত্র জানায় তারই ধারাবাহিকতায় পূর্ব হড্ডা গ্রামের সাধারণ মানুষ সংসদ সদস্যের নির্দেশে বেঁড়িবাঁধ টিকিয়ে রাখতে লবন পানির চিংড়িঘের না করার ঘোষণা দিয়ে সকল পাইপ বন্ধ করেছে। এ বিষয় পূর্ব হড্ডা গ্রামের রিপন মন্ডল বিশ^জিৎ মন্ডল, গিতা রানী মিস্ত্রি, সুচিত্রা মন্ডল সহ একাধিক ব্যক্তি জানায়, প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি আমাদের সামান্য জমি টুকু জবর দখল করে ঘের করায় আমরা লবণ পানিতে মারাক্তক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। এ ছাড়া লবণ পানি পাইপ দিয়ে উঠানামার কারনে বেঁড়িবাঁধ হুমকীর মুখে পড়েছে। তারা বলেন, বর্তমানে আমাদের পার্শ্ববর্তী কুমখালী ওচান্নিরচক গ্রামে ধান সহ তরমুজ ও অন্যান্য ফসলের চাষাবাদ করে অধিক লাভবান হওয়ায় আর নয় লবণ পানির চিংড়ি চাষ।
ইউপি চেয়ারম্যান বিজয় কুমার স্থানীয় মানুষের সাথে একই সুরে বলেন, বর্তমানে চিংড়ির চেয়ে ধান ও অন্য ফসলের দিকে ঝুকে পড়ছে এলাকার
মানুষ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার হড্ডা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে লবণ পানির ঘের বিরোধী স্থানীয় শত শত নারী ও পুরুষের উদ্যেশ্যে বলেন, এলাকার
জনগণ অধিকাংশ এখন লবণ পানির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এবং বেঁড়িবাঁধ ঝুকি মুক্ত রাখতে সবাই একত্বতা ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য অনেক আগেই ঘোষণা দিয়েছেন আগামী ২০২২ সালের মধ্যে কয়রায় বেঁড়িবাঁধের সকল পাইপ পানি উন্নয়ন বোর্ডর মাধমে উচ্ছেদ করা হবে। ক্লান্তি লগ্নে যে অক্সিজেনের অভাবে মানুষের জীবন বিপন্ন সেই অক্সিজেনও কিন্তু আমরা গাছ থেকে পাই। এ জন্য সকলের বাড়ীতে বা ফাকা রাস্তার পাশে গাছ লাগানোর আহবান জানান।