কয়রা প্রতিনিধি :: কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলামিন ইসলাম (খোকন) এর উপর অতর্কিত হামলা করে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের বড়ব্রীজ নামক স্থানে। এ ঘটনায় কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগ রবিবার সকাল ১০ টায় কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশে সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় বড় ব্রীজের রাস্তা সংস্কার কাজে বাঁধা দেওয়ায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আলামিন তার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় মঠবাড়ী গ্রামের সন্ত্রাসীরা দা’ এর কোপে তার মাথায় ও হাতে আঘাত করে। এ সময় পাশ^বর্তী লোকজন ছুটে এসে আলামিনকে উদ্ধার করে জায়গীরমহল হাসপাতালে পাঠায় এবং সন্ত্রাসীদের একজনকে আটক করে। সূত্র জানায়, ঘটনার কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছালে স্থানীয়রা সন্ত্রাসী লালমিয়া (২০) কে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
জানা গেছে, মঠবাড়ী গ্রামের সালাম গাজীর পুত্র জেনারুল (২৪), রিকোম (২৮) ও তার ছোট ভাই লালমিয়া (২০) এবং একই গ্রামের তাদের সহযোগী মোজাফফার, ছিদ্দিক ও শরিফসহ আরও কয়েকজন এ হামলায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ঘটনাস্থল থেকে জনতা লাল মিয়াকে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। এ বিষয় প্রত্যক্ষদর্শী আলমিন ঢালী, আবুল গাজীসহ একাধিক ব্যক্তি জানায়, বড়ব্রীজের মাটি ধ্বসে পড়ায় ছাত্রলীগ নেতা আলামিনের নির্দেশে স্থানীয় ভ্যান ও নছিমন চালকরা বাঁশ ও মাটি দিয়ে উক্ত রাস্তা সংস্কার করছিল।
এসময় সন্ত্রাসী জেনারুল ও তার দুই ভাই ও আরও কয়েকজন এসে রাস্তা সংস্কার কাজে বাধা দেয় এবং হুংকার দিয়ে বলে লাভলু চেয়ারম্যান ও এমপির লোকজন দিয়ে কাজ করতে দেব না। অতঃপর শনিবার সন্ধ্যার মহুর্তে আলামিন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে জেনারুলদের বরেন, রাস্তা সকলের তাই কাজ করতে অসুবিধা কি? আলামিন এ কথা বলার পরপরই গায়ের জামার মধ্য থেকে দা বের করে লাল মিয়া আলামিনের মাথায় কোপ মারলে আলামিন হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে তার ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল ঝুলে পড়ে এবং জেনারুল, রিকোম দা বের করে আলামিনের মাথায় দা’ এর কোপ মারে। এ সময় পাশে লোকজন ছুটে এসে লালমিয়াকে ধরে ফেললে অন্যরা দৌড়ে পালায়। এদিকে আলামিনকে ঐ রাতে জায়গীরমহল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে খুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেন কর্তব্যরত ডাক্তার এবং এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।