সব কিছু
facebook channelkhulna.tv
খুলনা সোমবার , ৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ২১শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
কয়রা উপজেলায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন | চ্যানেল খুলনা

কয়রা উপজেলায় টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদন

২০০৯ সালের ২৫ মে ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে ভেঙ্গে পড়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়রা উপজেলা অর্থনীতি। সেসকল ক্ষতি না পুষিয়ে উঠতেই গত ২০ মে ২০২০ খ্রি. আঘাত হানে সুপার সাইক্লোন আম্পান। কয়রা উপজেলার ১২১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ২১ টি স্থান ভেঙ্গে উপজেলার ৬৮ টি গ্রামের ৫১,০০০ ঘরবাড়ি, ৫,০০০ হেক্টর জমির ফসল, ১৫,০০০ গবাদি পশু এবং ৫,০০০ মৎস্য ঘেরসহ উপজেলার ১,৮২,০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ১৮৮৩ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং ২০,০০০ শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে রাস্তায় ও আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করছে এবং জোয়ার ভাটা প্রত্যক্ষ করছে আমাদের প্রিয় বসতবাড়ি। এজন্য, আম্পানের আঘাতে গৃহহীন হওয়া পরিবারগুলোর দ্রুত পূনর্বাসনের ব্যবস্থা, যথেষ্ট খাদ্য সহায়তা এবং সুপেয় পানির সরবারহ নিশ্চিত করা আশু প্রয়োজন।এমতাবস্থায়, বৃহত্তর খুলনা উন্নয়নের মাস্টারপ্ল্যানের অংশবিশেষ কয়রা উপজেলায় প্রশস্ত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠারদাবিজানিয়েপ্রধানমন্ত্রীবরাবরআবেদনজানিয়েছে বানভাসি কয়রাবাসী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মহানুভব দৃষ্টি আকর্ষণ করে ৫ দফা সুপারিশ সম্বলইত সনির্বন্ধ নিবেদন পেশ করেছে বিধ্বস্ত এই জনপদের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেরা।
আবেদনে উল্লেখিত সুপারিশগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ(১)সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে ইকো-ট্যুরিজম এর সম্প্রসারণ এর লক্ষ্যে খুলনার রূপসা ব্রিজ সংলগ্ন ছাচিবুনিয়া থেকে বটিয়াঘাটা ও সোলাদানা হয়ে পাইকগাছা পযন্ত সড়কটি আপনি মহাসড়কে উন্নীত করার জন্য ইতোমধ্যে একনেক সভায় সানুগ্রহ অনুমোদন দিয়েছেন যার জন্য কয়রাবাসী আপনার কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। পাইকগাছার সোলাদানা থেকে বামে গড়ুইখালী ও গিলাবাড়ি হয়ে কয়রার কাঠকাটা লঞ্চ ঘাট পযন্ত সড়কটি মহাসড়কের মাস্টার প্ল্যানে অন্তর্ভুক্ত হলে খুলনা থেকে কয়রা উপজেলার দুরত্ব প্রায় ৪০ (চল্লিশ) কি.মি. কমবে এবং ৪ (চার) লেনের এই সড়কটি বাস্তবায়িত হলে সুন্দরবনভিত্তিক ইকোট্যুরিজম এবং বঙ্গোপসাগর কেন্দ্রিক ব্লু ইকোনমির ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটবে এবং বঙ্গোপসাগরে টহলরত নৌবাহিনীকে স্থলপথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অনায়াসে অতি দ্রুত ব্যাপক সহযোগিতা করতে পারবেন আমাদের মূল্যবান সমুদ্র সম্পদ রক্ষার্থে।
(২)কয়রা উপজেলার আংটিহারার সাথে ভারতের দীর্ঘদিনের নৌ যোগাযোগের ইতিহাস রয়েছে যা শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ পর্যন্ত বর্ধিত করা যেতে পারে। শ্রীলংকা গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ করতে যাচ্ছে যার আঞ্চলিক সুবিধার অংশবিশেষ আংটিহারাতে একটি ডকইয়ার্ড নির্মাণ করা যেতে পারে। খুলনার রূপসা নদীর নাব্যতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। রূপসা সেতুর কারণে বড় জাহাজগুলো খুলনা শিপ ইয়ার্ডে জোয়ারের সময় আনয়ন করা সম্ভব হয়না। এজন্য খুলনা শিপ ইয়ার্ডের সাথে সামঞ্জস্য রেখে কয়রার আংটিহারাতে পরিকল্পিতভাবে জাহাজ নির্মাণ বা মেরামত শিল্পের বিকাশ ঘটানো যেতে পারে। কয়রা উপজেলার প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ায় এ ধরনের ডকইয়ার্ড নির্মাণ কাজে এবং তদপরবর্তী সময়ে ডকইয়ার্ডটি পূর্ণ গতিতে ব্যবহার করা সম্ভব হবে। এর ফলে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং সরকারের জাতীয় রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে বহুগুন।
(৩)বাংলাদেশের বৃহত্তম উপজেলা শ্যামনগর এবং দ্বিতীয় বৃহত্তম উপজেলা কয়রাকে একটি মাস্টার প্ল্যানের আওতায় আনয়নপূর্বক প্রস্তাবিত টেকসই বেড়িবাঁধ কমপক্ষে ৪০-৪৫ ফুট প্রশস্ত করা যেতে পারে। কারণ, আশেপাশে নদীতে প্রচুর বালু আছে। ড্রেজিং করলে নদী গভীর হবে, নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং খুব কম খরচে বাঁধ প্রশস্ত করা সম্ভব। অপরপক্ষে, মাটিতে আগের তুলনায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় মাটির বাঁধ মোটেই টেকসই নহে। বরং, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে কংক্রিটের বাঁধ এবং প্রশস্ত কার্পেটিং রাস্তা জাতীয় আয় বর্ধক। একটি ডিভইডার দিয়ে একাংশ-আনুমানিক ২০ থেকে ২২ ফুট আপাতত: কার্পেটিং করা যেতে পারে এবং বাকি অংশ ২০ থেকে ২২ ফুট সরকারের সক্ষমতা অনুযায়ী ধীরে ধীরে কার্পেটিং বা উন্নয়ন করা যেতে পারে। টেকসই এবং প্রশস্ত বাঁধ নির্মিত না হলে, ব্যক্তিগত উদ্যোগে, সরকারি ও বেসরকারিভাবে কেহ কোন কিছু বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবে না। আর বিনিয়োগ না হলে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে না। উল্লেখ্য, ব্লক সিস্টেম ৮ থেকে ১০ বৎসরের মধ্যে বিনষ্ট হয়ে যায় এবং বারবার মেরামত করতে হয় যা দীর্ঘমেয়াদী ফল বয়ে আনে না।
(৪)বাঁধের ভিতরে এবং বাইরে সামাজিক বনায়ন করলে বাঁধটি যেমন দীর্ঘস্থায়ী হবে তেমনি ইকোটুরিজমসহ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে। নদীর তীরে গোলপাতা, নদীর চরে কেওড়া, সুন্দরী, খলিশা, বাইন ইত্যাদি রোপন করা যেতে পারে। এর ফলে একদিকে উন্নত মানের মধু পাওযা যাবে, কেওড়ার আচার, জেলি, কেওড়া জল ইত্যাদি হাইপার টেনশন নিরোধক হিসেবে মার্কেটে প্রচুর চাহিদা রয়েছে। তেমনি গোলপাতা ছাউনি হিসেবে ব্যবহার করলে টিনের ব্যবহার কমবে যা পরিবেশের জন্য সহায়ক। সর্বোপরি, সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগর এর উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরনের শিল্পায়ন করা যেতে পারে অনায়াসে। বেড়িবাধের ভিতরেও তাল, নারিকেল এবং দেশিজাতের প্রচুর ফলের চাষ করা যেতে পারে যার মাধ্যমে স্থানীয় চাহিদা পূরণপুর্বক রপ্তানি করা যেতে পারে। ইউএনডিপির সহযোগিতায় গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড থেকে এ ধরনের সামাজিক বনায়ন প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে অনায়াসে।
(৫) কয়রা উপজেলায় ২১ টি স্লুইচ গেইট আছে। উপকূলবর্তী এই স্লুইসগেটগুলো নির্মাণ ও সংস্কারপূর্বক বর্ষাকালের মিঠাপানির সংরক্ষণ এবং লবণাক্ত পানি প্রবেশ সীমিত বা বাধা সৃষ্টি করতে পারলে, কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি ও মিঠা পানির মৎস্য এমনকি মিঠা পানির চিংড়ি চাষের ব্যাপক সমপ্রসারণ করা সম্ভব। উল্লেখ্য, কাঁকড়া চাষের জন্য পানির পিএইচ প্রয়োজন হয় ২২ অথবা তদুর্ধ্ব। অর্থাৎ, চিংড়ি চাষের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বা তিনগুন লবণাক্ত পানির প্রয়োজন হয়। সামগ্রিকভাবে পরিবেশের সুষ্ঠু সংরক্ষণের স্বার্থে বাঁধের অভ্যন্তরে কাঁকড়া চাষের আওতামুক্ত রাখা প্রয়োজন।
তারা আরো উল্লেখ করেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি অত্যন্ত সাহসী ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। দীর্ঘমেয়াদী টেকসই প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে আপনি সিদ্ধহস্ত এবং আপনার নিবিড় তত্ত্বাবধানে বর্তমানে সারাদেশে ১০ (দশ) টি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। এজন্য উপকূলবর্তী উপজেলাসমূহকে সরকারের বোঝা মনে না করে, জাতীয় আয়ের উৎস হিসেবে একটি মেগাপ্রকল্প গ্রহণপূর্বক বাস্তবায়িত করতে পারলে আমরা একদিন উন্নত দেশে উন্নীত হতে পারি এবং বিশেষ করে কয়রা ও শ্যামনগর উপজেলার ক্ষেত্রে তা বহুলাংশে সম্ভব।-প্রেস রিলিজ

https://channelkhulna.tv/

প্রেস রিলিজ আরও সংবাদ

জনসম্পৃক্ততায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারী ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের ব্যাপারে বিএনপি ‘জিরোটলারেন্স’

খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর রুকন শিক্ষা শিবির

প্রতিবন্ধী অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসংস্থান বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

ভোলার গ্যাস খুলনায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে না দিলে কঠোর কর্মসূচীর হুশিয়ারি

খুবিতে চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে ঘুড়ি উৎসব রঙিন আকাশে উৎসবমুখর শিক্ষার্থীরা

তারুণ্যের কণ্ঠ একত্রে গর্জে উঠলো গ্র্যান্ড ফিনালেতে

চ্যানেল খুলনা মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন  
DMCA.com Protection Status
সম্পাদক: মো. হাসানুর রহমান তানজির
It’s An Sister Concern of Channel Khulna Media
© ২০১৮ - ২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | চ্যানেল খুলনা.বাংলা, channelkhulna.com.bd
যোগাযোগঃ ৫ কেডিএ বানিজ্যিক এলাকা, আপার যশোর রোড, খুলনা।
প্রধান কার্যালয়ঃ ৫২/১, রোড- ২১৭, খালিশপুর, খুলনা।
ফোন- 09696-408030, 01704-408030, ই-মেইল: channelkhulnatv@gmail.com
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য অধিদফতরে অনলাইন নিউজ পোর্টাল নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।