চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃসারাবিশ্বেই এক ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটিয়েছে করোনাভাইরাস। এখনও পর্যন্ত এর কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাস থেকে মানবজাতিকে মুক্তি দিতে এর ভ্যাকসিন তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছেন। এর মধ্যেই বেশ কিছু দেশের বিজ্ঞানীরা তাদের তৈরি ভ্যাকসিন মানবদেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছেন। কয়েকটি এর মধ্যেই বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সফলও হয়েছে। তবে চূড়ান্তভাবে এখনও কোনো ভ্যাকসিন হাতে পাওয়া যায়নি।
এদিকে, ভ্যাকসিন নিয়ে আশার কথা শোনালো যুক্তরাষ্ট্রের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার। ভ্যাকসিন তৈরিতে নিজেদের সফলতার বিষয়ে তারা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী বলে জানিয়েছে। আগামী অক্টোবরের মধ্যেই ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছ থেকে নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিনটির জন্য অনুমোদন পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী তারা।
গত ৭ জুলাই টাইম অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলবার্ট বোরলা বলেন, তার বিশ্বাস অক্টোবরের মধ্যেই হয়তো ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তাদের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেবে।
এই ভ্যাকসিন উন্নয়নে জার্মানির কোম্পানি বায়োএনটেকের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে ফাইজার। চলতি মাসের শেষের দিকে বড় ধরনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
১৫০টি স্থানের ৩০ হাজার মানুষ ভ্যাকসিনের এই পরীক্ষামূলক প্রয়োগে অংশ নেবেন। এদিকে, বোরলা বলছেন, তারা চূড়ান্ত ভ্যাকসিনটির দাম এমনভাবে নির্ধারণ করবেন যেন তাদের কিছু লাভ থাকে। কিন্তু তিনি বিশ্বাস করেন যে, বিভিন্ন দেশের সরকারের উচিত সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা লোকজনের মধ্যে এর প্রথম ডোজ বিনামূল্যে বিতরণ করা।
তিনি বলেন, যারা এই ভ্যাকসিনটি গ্রহণ করেছেন সবার ক্ষেত্রেই এটি ভালো প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। প্রত্যেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, তাদের দেহের ভাইরাস মারা গেছে। তিনি বলেন, এই ভ্যাকসিনটি ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছে।
ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা নিয়ে কথা বলার জন্য যথেষ্ট তথ্য সেপ্টেম্বরের মধ্যেই হাতে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এরপরই সব তথ্য এফডিএর কাছে জমা দেওয়া হবে। সব যাচাই বাছাই করে তারা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেবেন। বোরলা বলেন, এক্ষেত্রে যদি আমাদের ভাগ্য ভালো হয় তবে অক্টোবরের মধ্যেই আমরা হয়তো অনুমোদন পেয়ে যেতে পারি। যদি অনুমোদন না মেলে তবে সব ছুড়ে ফেলতে হবে, কিছু টাকা জলে যাবে।
বোরলা আরও বলেন, সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে, যখন এর কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত হবো এবং এফডিএর অনুমোদন পাব সে সময়ের মধ্যেই আমাদের ভ্যাকসিনও তৈরি হয়ে যাবে। এমন ঘটনা আগে ঘটেনি এবং এর মধ্যেই চূড়ান্ত ভ্যাকসিনের কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।