সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করার মামলায় বিএনপি নেতা প্রকৌশলী ইশরাক হোসেনের খালাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. সেলিমের একক বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
তিনি জানান, দুদকের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। আর ইশরাক হোসেনকে যে আদালত খালাস দিয়েছেন সে আদালতে আত্মসমপর্ণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আত্মসমপর্ণের পর ইশরাককে জামিন দিতে সংশ্লিষ্ট আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর ইশরাক হোসেন ও তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের নোটিস দেয় দুদক। ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর দুদকের কনস্টেবল তালেব কমিশনের নোটিসটি জারি করতে ইশরাকের বাসভবনে যান।
কিন্তু ইশরাক সেখানে না থাকায় উপস্থিত চারজন সাক্ষীর সামনে বাসভবনের নিচতলায় প্রবেশ পথের বাম পাশের দেয়ালে স্কচটেপ দিয়ে ঝুলিয়ে নোটিসটি জারি করেন। এরপর কমিশনের দেয়া সাত কার্যদিবসের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী দাখিল করেননি।
এ ঘটনায় ২০১০ সালের ২৯ আগস্ট রাজধানীর রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে এ মামলাটি করা হয়। দুদকের তৎকালীন সহকারী পরিচালক সামছুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৮ সালের ৬ ডিসেম্বর আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করা হয়। দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন।
গত বছরের ১৪ জানুয়ারি একই আদালত অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।
এরপর বিচার শেষে গত বছরের ২৩ নভেম্বর এ মামলায় ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম ইশরাককে খালাস দেন। এর বিরুদ্ধে দুদক হাইকোর্টে আপিল করে।