চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃখুলনায় বৃষ্টি হয়েছে দুইদিন পূর্বে। অথচ এখনো পানিবন্দী হয়ে আছে নগরীর খালিশপুর বাস্তহারা কলোনীর প্রায় ১০ হাজার মানুষ। গত শনিবার সকাল থেকে ওই এলাকায় হয়েছে জলাবদ্ধতা। পানি নেমেছে মাত্র ৩ ইঞ্চি। সম্পূর্ণ পানি নামতে আরও সময় লাগবে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বৃষ্টি হলেই এমন জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তির দাবি জানিয়েছেন কলোনীর বাসিন্দারা।
স্থানীয়রা জানান, বাস্তুহারা এলাকাটি এমনিতে নিচু। তারপর বাস্তহারা খালটি ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে। আবার খালটি ছাতির পার্কের পাশ দিয়ে বাইপাস সড়কে গিয়ে প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। অবৈধ দখলদারদের কারণে খাল দিয়ে পানি নামতে পারছে না। মূলত খাল দিয়ে পানি নামতে না পারায় বৃষ্টির পানি রাস্তা-ঘাটসহ মানুষের ঘরবাড়িতে ঢুকে পড়েছে।
খুলনা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ জানান, গত শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত খুলনায় ১১৪ বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে।
গতকাল বাস্তহারা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, পুরো এলাকা এখনো ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি পানির নিচে। রাস্তাঘাট-এমনকি মানুষের ঘরের মধ্যেও পানি ঢুকে গেছে। পানির মধ্যেই তাদের দিন কাটছে। দুই দিনে বৃষ্টি পানি নেমেছে মাত্র ৩-৪ ইঞ্চি। মুজগুন্নী মহাসড়কেও জমে রয়েছে পানি। যানবাহন চলাচলেও দুর্ভোগে পড়ছে চালক ও যাত্রীরা। পথচারীরাও চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ছেন।
বাস্তহারা এলাকার মুদি ব্যবসায়ী কুদ্দুস হোসেন ও স্থানীয় বাসিন্দা নগরীর বিএল কলেজের ছাত্র দেলোয়ার হোসেন জানান, বাস্তহারা মূল সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার করা হয় না। সড়কটি উঁচু করলে বাইরের পানি ভেতরে প্রবেশ করতে পারতো না। কিন্তু করবো, করছি বলেও সড়কটি উঁচু করা হচ্ছে না। এভাবে দীর্ঘদিন থাকতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি প্রবেশ করে।
স্থানীয় বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেন জানান, ভারী বৃষ্টি হলেই এই এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা-ঘাট, এমনকি শোবার ঘরেও পানি ঢুকে যায়। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে বাস্তহারা খালটি পুনঃখনন করে সচল করা এবং রাস্তা উঁচু করা জরুরি। কিন্তু বার বার বলা সত্ত্বেও এদিকে কারও নজর নেই।