ফুসফুস ও কিডনি জটিলতার কারণে বারবার জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তিনি বর্তমানে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চেয়ারপারসনের সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এমনটা জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৪ জুন) সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকদের কাছ থেকে যতটুকু জেনেছি তার (খালেদা জিয়া) হার্টের সমস্যা আছে। সেই সমস্যা না গেলে তার ফুসফুসে যে পানি আসে, সেটা বন্ধ হবে না।’
‘চিকিৎসকরা মনে করছেন যে, কিডনি ইজ নট ফাংশনিং প্রপারলি, তার লিভারও ঠিকভাবে কাজ করছে না। যে কারণে জ্বর চলে গেলে আবারও আসছে। গতকালও তার জ্বর এসেছিল’ ।
এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, তারা তাদের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যেটা বারবার করে চিকিৎসকরা বলছেন যে, আমাদের হাসপাতালগুলোয় সব ধরনের সরঞ্জাম নেই। তাকে অ্যাডভান্স সেন্টারে নিয়ে চিকিৎসা করানো উচিত।’
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা চলছে।
গত ১৪ এপ্রিল গুলশানের বাসভবনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। ২৭ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় খালেদা জিয়াকে। ৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। তিনি করোনা থেকে সেরে ওঠেন ৯ মে। ৩ জুন চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে সিসিইউতে থেকে কেবিন ফিরিয়ে আনা হয়।