বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে অনশনরত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নোমান ও ইমামুল অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এদের মধ্যে নোমানকে স্যালাইন দেওয়া হচ্ছে। তাকে হাসপাতালে স্থানান্তরের কথা বলা হলেও যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। অসুস্থ ওই শিক্ষার্থীর নাম মোহাম্মদ মোবারক হোসেন ওরফে নোমান। সে বাংলা ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর শরীফ হাসান লিমন মেডিকেল টিমসহ নোমানের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গেলে তারা চেকআপ করতে অস্বীকৃতি জানায়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে নিবিড় পর্যবেক্ষণের জন্য তাকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য বলা হলেও সে যেতে রাজি হয়নি। টানা ৪১ ঘণ্টা না খেয়ে থাকার ফলে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বাইরে থেকে চিকিৎসক এনে পরীক্ষা করান। চিকিৎসক তাঁর শরীরে স্যালাইন পুশ করে রেখেছেন। অনশনরত অপর শিক্ষার্থী ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ইমামুল ইসলামের অবস্থাও খুব বেশি ভালো নয়। তাকেও যেকোনো সময় স্যালাইন দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে।
এ বিষয়ে অনশনরত আরেক শিক্ষার্থী ইমামুল ইসলাম সোহান জানায়, আমিও শারীরিকভাবে বেশ অসুস্থ বোধ করছি, হাঁটার মত শক্তি নেই। কিন্তু নোমান অনেক বেশি অসুস্থ, তার হাত মুখ ফুলে গেছে। কথাও বলতে পারছে না সকাল থেকে।
নোমানকে পর্যবেক্ষণকারী বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. শেখ সাঈদ আফতাব জানান, ওই শিক্ষার্থীর বøাড সুগার অনেক নিচে নেমে গেছে। তার এখন সার্বক্ষণিক নিবিড় পর্যবেক্ষণ দরকার। সেই চিকিৎসা সেবা এখানে বসে দেওয়ার সুযোগ নেই। এ কারণে এখনই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা প্রয়োজন।
শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচরণ, তদন্ত কমিটিকে সহযোগিতা না করাসহ বিভিন্ন কারণে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা বোর্ড। ওই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে তারা আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেছে।
এদিকে ঐ দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েকজন শিক্ষার্থী বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যানার ও মিছিল সহকারে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে। পরে তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধনে অংশ নেয়।