বৃহস্পতিবার (১৬ মে) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)’র আওতায় আবশ্যকীয় কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহের বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) বিষয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯.৩০ মিনিটে আচার্য প্রফুল্ল চন্দ্র রায় কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের কনফারেন্স রুমে এ সেমিনারে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সময়ের সাথে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তনের ধারায় অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) চালু করা হয়েছে। ফলে সেবা প্রদানের মানোন্নয়নও হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা সকলেই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আমাদের দায়িত্ব জনগণকে সেবা প্রদান করা। সেই দায়িত্বগুলোকে জাগ্রত করার জন্যই অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা।
উপাচার্য বলেন, এক জায়গায় কাজ করলে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসতে পারে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে অনেক অভিযোগ বক্স স্থাপন করা হয়েছে। অভিযোগ বক্সে কোনো অভিযোগ না পড়লে বোঝা যাবে আপনারা দায়িত্বের প্রতি সচেতন। উপাচার্য পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নের মাধ্যমে নাগরিক সেবা প্রদান ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ে ধারণার পরিবর্তন আনতে সকলের প্রতি আহ্বান।
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা ও ট্রেজারার প্রফেসর অমিত রায় চৌধুরী। রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত কমিটির ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা ও শাখা প্রধান (প্রশাসন) উপ-রেজিস্ট্রার দীপক চন্দ্র মন্ডল। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সহকারী রেজিস্ট্রার মমতাজ খন্দকার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর টেকনিক্যাল সেশনে রিসোর্স পারসন হিসেবে সেবাপ্রদান প্রতিশ্রুতি ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ে বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিকক্ষণ কেন্দ্র, খুলনার উপ-পরিচালক (সিনিয়র সহকারী সচিব) খাতুনে জান্নাত ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা সংক্রান্ত কমিটির ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা উপ-রেজিস্ট্রার দীপক চন্দ্র মন্ডল। সেমিনারের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।