১ ফাল্গুন ১৪৩০ ঋতুরাজ বসন্তের শুরু। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে বসন্তবরণ করা হয়। এ উপলক্ষ্যে সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে ঋতুরাজ বসন্তকে স্বাগত জানিয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন এর নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি কাজী নজরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে দিয়ে কটকা স্মৃতিস্তম্ভ হয়ে হাদী চত্বরের সামনে দিয়ে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রশাসন ভবন প্রদক্ষিণ করে অদম্য বাংলা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রা শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় বাঙালি সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে চায়। বিশ্বায়নের যুগে আমরা যে বাঙালি সংস্কৃতিকে ধারণ ও লালন করি, সেটিরও উদাহরণ আজকের এই সমবেত। নতুন প্রজন্মকে বাঙালি সংস্কৃতির সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বাংলা ডিসিপ্লিনের এই আয়োজন। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, শীতের শেষে প্রকৃতিতে আজ বসন্তের আগমন দৃশ্যনীয়। রঙিন হয়ে ওঠা এই প্রকৃতি আমাদের সকলের মনে দোলা দেয়।
কলা ও মানবিক স্কুলের ডিন ও বাংলা ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. রুবেল আনছার, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মোহাম্মদ রকিবুল হাসান সিদ্দিকী এবং বাংলা ডিসিপ্লিনসহ বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষকবৃন্দ ও বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। পরে অদম্য বাংলা চত্বরে বসন্তবরণে প্রভাতী নিবেদন ‘আবহমান বাংলা’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ নাটক মঞ্চায়ন করা হয়। অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- বিকাল ৫টায় কবিতা, সঙ্গীত ও নৃত্য এবং ‘যৈবতী কন্যার মন’ নাটক মঞ্চায়ন।