খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন বলেছেন, পদার্থবিজ্ঞান হচ্ছে মৌলিক বিজ্ঞান। পদার্থবিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার কথা বলতে গেলে সতের শতকের বৈজ্ঞানিক বিপ্লব থেকে উদ্ভূত হয়েছিল, এরপর ঊনিশ শতক, বিশ শতক এবং আজকের এই একুশ শতকে আমরা যেখানে রয়েছি পদার্থবিজ্ঞানের বিকল্প কিছুই নেই। আধুনিক সভ্যতা, নেটওয়ার্কিং কমিউনিকেশন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব- সবকিছুর সাথেই রয়েছে পদার্থবিজ্ঞান। এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে আমরা যে উন্নত বিশ্বের স্বপ্ন দেখছি, তা অচিরেই পূরণ হবে।
শনিবার (১৮ মে) সকাল ৯টায় ড. সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের লেকচার থিয়েটারে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন আয়োজিত ‘একুশ শতকের জন্য পদার্থবিজ্ঞান’ শীর্ষক জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চিফ প্যাট্রন হিসেবে বক্তৃতাকালে উপাচার্য এ কথা বলেন। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘ভবিষ্যতের অগ্রযাত্রায় পদার্থবিজ্ঞানের ভূমিকা’।
উপাচার্য আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন আয়োজিত এই জাতীয় সম্মেলন থেকে প্রথিতযশা গবেষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও নবীন গবেষকরা তাদের গবেষণা নিবন্ধ উপস্থাপন করবেন। তারা তাদের গবেষণালব্ধ জ্ঞান দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেবে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এ ছাড়া বাংলাদেশে পদার্থবিজ্ঞানের গবেষণা কোন পর্যায়ে রয়েছে এবং বিশ্বকে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের কি রয়েছে তা উঠে আসবে। এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীদের পারস্পরিক সহযোগিতায় পদার্থবিজ্ঞান এগিয়ে যাবে এবং আজকের এই জাতীয় সম্মেলনের অভিজ্ঞতায় ভবিষ্যতে পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের উদ্যোগ নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি সময়োপযোগী এই জাতীয় সম্মেলন আয়োজনের জন্য পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন প্রধানসহ আয়োজক কমিটির সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্যাট্রন হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা এবং বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. কামরুল হাসান তালুকদার। সম্মেলন আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও পদার্থবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খানের সভাপতিত্বে কি-নোট স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের চিফ সায়েন্টিফিক অফিসার ড. সৈয়দ মোহাম্মদ হোসেন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্মেলন আয়োজক কমিটির সদস্য-সচিব ও সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. সালাহউদ্দিন মিনা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী রিদওয়ান আল জাওয়াদ, অন্বেষা চক্রবর্ত্তী ও নাফিয়া ওয়াহিদ নির্ঝর।
এ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ২ শতাধিক শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। সম্মেলনে ৫টি প্যারালাল সেশনে ৫৫টি ওরাল প্রেজেন্টেশন এবং ২৯টি পোস্টার প্রেজেন্টেশন করা হয়। এর আগে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলন শুরু হয়।