খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো বৃহৎ পরিসরে দু’দিনব্যাপী চাকরি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ ২৫ জুন ২০২২খ্রি. তারিখ সকাল ৯টায় প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে এই চাকরি মেলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। পরে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের তৃতীয় তলায় আয়োজিত চাকরি মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয় এখন থেকে বছরে দুইবার চাকরি মেলার আয়োজন করা হবে। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েটরা এবং অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা চাকরির বিভিন্ন ক্ষেত্রের তথ্য প্রাপ্তি ছাড়াও অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি’র মাধ্যমে আগামীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন স্ট্রিমে এই মেলা আয়োজনের বিষয় ব্যবস্থাপনা করা হবে। তিনি আরও বলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক পরিসরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এটা সহায়ক ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় ও ইন্ডাস্ট্রিজির মধ্যে লিংক স্থাপিত হবে। তিনি ছাত্রবিষয়ক পরিচালক এবং রোটরেক্ট ক্লাবকে যৌথভাবে এই চাকরি মেলা আয়োজনের জন্য এবং অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন নিয়োগ প্রতিষ্ঠানকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, এ চাকরি মেলায় নামকরা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। এসব কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ব্র্যাক, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি, বিকাশ, আরএফএল, প্রাণ, আনোয়ার গ্রুপ, ম্যারিকো, এম আই এডুকেশন, ক্লাউড ইনস্টিটিউট, ইমপেল এডুকেশন, আলিফ গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিস, মেঘনা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিস, জাইনিক ল্যাব, টেন ওয়েব প্রপার্টিজ, রাইট সাইট এডুকেশন, অ্যাপেক্স, লেক্সিকন। এছাড়াও ইউনিলিভার ও ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো অনলাইনে অংশগ্রহণ করছে এ মেলায়। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে বিভিন্ন নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
খুবি রোটার্যাক্ট ক্লাবের সভাপতি মাহামুদুল হাসান মিল্লাত বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এত বড় করে চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ মেলার মাধ্যমে অনেক বেকার শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। আশা করি আগামী দিনেও এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক শরীফ হাসান লিমন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মত বৃহৎ পরিসরে চাকরি মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এটা চলমান রাখার চেষ্টা থাকবে আমাদের। এর মাধ্যমে চাকরির ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে। একইসাথে তাদের কর্মসংস্থানেরও সুযোগ সৃষ্টি হবে।