খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনে আধুনিকমানের গবেষণা ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জীবনানন্দ দাশ একাডেমিক ভবনের তৃতীয় তলায় স্থাপিত এ ল্যাবের নাম দেওয়া হয়েছে সোসাল রিসার্চ ল্যাব। প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে স্থাপিত এ ল্যাবে জিরোক্লায়েন্ট পদ্ধতিতে ৩টি সার্ভার স্টেশনসহ ৪৬টি ওয়ার্কস্টেশন রয়েছে। এছাড়া বহুমুখী ব্যবহারযোগ্য ইন্টারেক্টিভ হোয়াইটবোর্ড, ডাটা অ্যানালাসিসের জন্য আধুনিক ভার্সনের সফটওয়্যার রয়েছে। ব্রান্ডেড ইকুইপ্টমেন্ট সমৃদ্ধ ল্যাবটি এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অন্যতম রিসোর্স। গবেষণা ত্বরান্বিত করাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে এ ল্যাবটি প্রভূত উপকারে আসবে। এছাড়া শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে বহুমূখী কাজে ব্যবহার করা যাবে এ ল্যাবটি।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতাকেটে এ ল্যাবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। পরে তিনি ল্যাবটি ঘুরে দেখেন। এর আগে ল্যাবটি উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টিতে নানামুখী প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে গবেষণা মনস্কতা বৃদ্ধিতে গবেষণা প্রকল্পে বরাদ্দ, শিক্ষার্থীদের জন্য গবেষণা সহায়তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। গবেষকদের জন্য হাইইম্পাক্ট জার্নালে নিবন্ধ প্রকাশে প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। প্রত্যেক ডিসিপ্লিনে স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি ডিসিপ্লিনে স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ডিসিপ্লিনেও এ সুবিধা সৃষ্টি করা হবে। তিনি বলেন বিশ্বমানের শিক্ষা গবেষণার জন্য উন্নত পরিবেশ ও সুবিধা নিশ্চিত করা জরুরি। সে লক্ষ্যে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে। উপাচার্য বলেন গবেষণায় যাতে সামাজিক বিজ্ঞান স্কুল পিছিয়ে না থাকে সেজন্য কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। কারণ, আমরা যাই গবেষণা করি না কেনো, উদ্ভাবন করি না কেনো, তার অভীষ্ট হচ্ছে মানুষ ও সমাজ। মানুষের উন্নতি মানেই সমাজের সমৃদ্ধি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং একচল্লিশ সাল নাগাদ উন্নত বাংলাদেশ গঠনে বর্তমান সরকারের স্মার্ট বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে দেশপ্রেমিক দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি অপরিহার্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পারে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সেইভাবে গড়ে তোলার নানামুখী প্রচেষ্টা নেওয়া হচ্ছে যাতে তারা কোনো ক্ষেত্রে পিছিয়ে না থাকে। তিনি এ ল্যাব স্থাপনের কাজে যেসকল শিক্ষক নিয়োজিত ছিলেন তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সমাজবিজ্ঞান ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. সেলিনা আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সামাজিক বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ নাসিফ আহসান। অনুষ্ঠানে ল্যাবটি স্থাপনের প্রেক্ষাপট ও বর্তমান উপাচার্যের সহযোগিতার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ডিসিপ্লিনের প্রাক্তন প্রধান প্রফেসর ড. মোসাঃ তাছলিমা খাতুন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. তুহিন রায়। দীর্ঘ প্রত্যাশিত এ ল্যাবটি উদে¦াধন উপলক্ষ্যে ডিসিপ্লিনের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ছিলেন উৎফুল্ল।