চ্যানেল খুলনা ডেস্কঃ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মোঃ নুরুল আমিন বলেছেন দেশের
বিভিন্ন সেক্টরে যে উন্নয়ন হচ্ছে এর নেপথ্যে গবেষণা বড় রকমের ভূমিকা পালন করছে, প্রভাবকের কাজ করছে। একটি সেক্টরের উদহারণ দিয়েই বলা যায়, গবেষণার মাধ্যমেই কৃষি খাতে বিপ্লব এসেছে। তাই দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন টেকসই ও ত্বরাণি¦ত করতে হলে গবেষণার বিকল্প নেই। তিনি গতকাল বিকেল ৩ টায় ড. সত্যেন্দ্র নাথ বসু
একাডেমিক ভবনের ইউআরপি ডিসিপ্লিনের লেকচার থিয়েটারে নগর ও গ্রামীণ পরিকল্পনা ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে মিক্সড মেথডস রিসার্চ ডিজাইন এন্ড ডাটা এ্যানালাইসিস উইথ এসপিএসএস এন্ড এনভিভো শীর্ষক পাঁচদিনব্যাপী
প্রশিক্ষণের সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখার সময় এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন এখন সরকার প্রত্যেকটি কাজ করার আগে সম্ভ্যবতা যাচাই, বেজলাইন সার্ভে এবং সম্যক গবেষণার ওপর জোর দিচ্ছে যাতে প্রকল্প গ্রহণ বা বাস্তবায়নে ঝুঁকি বা সমস্যা কম হয়। গবেষণা রিপোর্ট থাকলে পরিকল্পনা প্রণয়ন বা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গাইডলাইন পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, সরকার সবক্ষেত্রেই গবেষণাকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং এজন্য ভালো গবেষক তৈরিতে উৎসাহ দিচ্ছে। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সোস্যাল সায়েন্সেস রিসার্চ কাউন্সিলকে জোরদার করা হয়েছে এবং এখন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন সেক্টরে নানামুখী গবেষণার জন্য প্রকল্প
আহবান করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষকবৃন্দ এখানে প্রকল্প জমা দিতে পারেন। তিনি আরও বলেন গবেষণা খাতে সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিচ্ছে, ফান্ডের অভাব নেই। সরকার চায় মানসম্মত গবেষণা যার ভিত্তিতে সরকার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিতে পারে। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর প্রশিক্ষণকোর্স আয়োজন করে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে বলে উল্লেখ করে ভবিষ্যতে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ
ধরনের কাজে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানের সভাপতি উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি কোয়ালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে জায়গা, অবকাঠামো, ল্যাব, একাডেমিক ভবন, শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলের স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের সংশোধিত পিসিপি, নতুন একটি বড় প্রকল্প প্রণয়নের উদ্যোগের বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন। তিনি বলেন চলমান প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আমাদের ডিজাইন পেতে বিলম্ব হওয়ায় যথাসময়ে কাজ শুরু সম্ভব হয়নি। এটা পদ্ধতিগত বিলম্ব, প্রকল্প বাস্তবায়নে সক্ষমতার অভাব নয়। তিনি সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য ও অভিলক্ষ্যও তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ডিসিপ্লিনের সিনিয়র শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল করিম ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সোসাল সায়েন্সেস রিসার্চ কাউন্সিলের উপপরিচালক(উপসচিব) ড. উত্তম কুমার দাস। ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপনী বক্তব্য রাখেন নগর ও গ্রামীন পরিকল্পনা ডিসিপ্লিরে প্রদান প্রফেসর ড. কাজী
সাইফুল ইসলাম। এর আগে প্রধান অতিথি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন। এই প্রশিক্ষণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও কুয়েট, রুয়েটসহ কয়েকটি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজের শিক্ষক-গবেষক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ৪০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।